রংপুর প্রতিনিধি : রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ সাতমাথা এলাকার জিবি সেন রোডের মৃত আব্দুল বারীর ছেলে আহসানুল হক বেলালকে (৫০) হত্যার দায়ে স্ত্রী সুফিয়া বেগমের মৃত্যুদণ্ড রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।

 

সোমবার দুপুরে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক রোকনুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় একজনকে খালাস প্রদান করা হয়েছে।

মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ৪ এপ্রিল রাতে স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৪৫) বেলের শরবতের সাথে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে বেলালকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। পরদিন তার মরদেহ পার্শ্ববর্তী চিলাহাট ঝাড় এলাকায় পুঁতে রাখতে গেলে স্থানীয়রা হাতেনাতে সুফিয়াকে আটক করেন। এ ঘটনায় নিহত বেলালের বড়ভাই আসাদুল হক বুলবুল বাদী হয়ে ৬ এপ্রিল সুফিয়াসহ ওষুধ বিক্রেতা হুমায়ুন কবীরকে আসামি করে কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

দীর্ঘ পাঁচ বছরেরও বেশি সময় আদালতে মামলাটি বিচারাধীন থাকার পর সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এর রায় ঘোষণা করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় হুমায়ুনকে খালাস প্রদান করা হয়েছে। অভিযুক্ত সুফিয়া জামিনে মুক্তি পেয়ে গত ৬ মাস ধরে পলাতক রয়েছেন।

বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার এবং আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সাহেদ কামাল ইবনে খতিব।

রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে মামলার বাদী আসাদুল হক বুলবুল জানান, সৌদি আরবে দীর্ঘদিন থাকার পর দেশে ফিরে আসলে টাকা ও সম্পত্তির লোভে এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়। তিনি দ্রুত রায় কার্যকরের দাবিও জানান।

(ওএস/এএস/আগস্ট ২৫, ২০১৫)