খুলনা প্রতিনিধি :মোটর ওয়ার্কশপ মালিক মো. শরীফ, তার মা বিউটি বেগম এবং শরীফের দূর সম্পর্কের চাচা মিন্টু মিয়াকে আসামি করে খুলনায় শিশু রাকিব হাওলাদার হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার এসআই কাজী মোস্তাক আহমেদ মঙ্গলবার দুপুরে খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিম এল এম ডি মেছবাহ উদ্দিনের আদালতে ১৯০ পৃষ্ঠার এই অভিযোগপত্র জমা দেন। গত ৩ আগস্ট বিকালে খুলনা শহরের টুটপাড়া কবরখানা এলাকায় শরীফ মোটর্সে মলদ্বারে কম্প্রেসার মেশিনের পাইপের মাধ্যমে হাওয়া ঢুকিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয় ১২ বছরের রাকিবকে।

হত্যাকাণ্ডের পরপরই ওয়ার্কশপ মালিক শরীফ (৩৫) ও মিন্টুকে (৪০) পিটিয়ে পুলিশে দেয় এলাকাবাসী। শরীফের মা বিউটি বেগমকেও (৫৫) আটক করে পুলিশ। পরদিন তাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত রাকিবের বাবা নুরুল আলম হাওলাদার। গ্রেপ্তারের পর তিন আসামিই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়া জবানবন্দি দিয়েছেন চার সাক্ষী নাদিম হাসান শাহীন, রবিউল ইসলাম, সুমন ও সেলিম হাওলাদার। অভিযোগপত্রে ৪০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে বলে তদন্ত কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ জানান।

তিনি আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়ার আগে মহানগর পুলিশের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে পুলিশ কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি বলেন, রাকিব একসময় শরিফের ওয়ার্কশপে কাজ করত। তাকে বিভিন্ন সময়ে বেতন কম দেওয়া হতো এবং শারীরিক নির্যাতন চালানো হতো বলে সে চাকরি ছেড়ে দেয়। এ কারণে ক্ষোভ থেকে আসামিরা পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে। রাকিবের লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, মলদ্বার দিয়ে কম্প্রেসার মেশিনের মাধ্যমে দেওয়া বাতাসের চাপে ওই কিশোরের পেটের ভেতরের নাড়ি, মলদ্বার, প্রস্রাবের থলি ফেটে যায়। এ ছাড়া পেটের ভেতরে অতিমাত্রায় রক্তক্ষরণ হয় এবং তা ছড়িয়ে পড়ে। রক্তক্ষরণের কারণেই তার মৃত্যু হয়।

(ওএস/এসসি/আগস্ট২৫,২০১৫)