ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠির রাজাপুরের বড়ইয়ায় সোহেল রানা (২০) নামে এক কলেজছাত্রকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সাড়ে ১১টার দিকে বড়ইয়া লঙ্করবাড়ি রাস্তার আজাহার আলীর ভিটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সোহেল রানা বড়ইয়া ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি (বি.এম) শাখার ২য় বর্ষের ছাত্র। জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হাতে প্রান দিতে হলো তার ছেলে কলেজছাত্র সোহেল রানার, এ অভিযোগ তার পরিবারের। রাজাপুর থানা পুলিশ কলেজছাত্রকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পুলিশ বড়ইয়া গ্রামের ইউসুফ হাওলাদারের ছেলে ফোরকান হোসেন (২২) ও একই গ্রামের আব্দুল্লাহ আল মাহবুবের স্ত্রী নাছিমা বেগম (৩০) কে গ্রেফতার করেছে।

৪ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে সোহেল রানা ছোট। প্রত্যক্ষদর্শী বড়ইয়া গ্রামের বাসিন্দা শামসুল হক আকান ও কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পূর্বে বড়ইয়া ডিগ্রি কলেজে এসে কলেজ ছাত্র সোহেল রানা উপবৃত্তির তালিকায় তার নাম এসেছে কিনা জেনে বাড়ি ফেরার পথিমধ্যে ঘটনা স্থলে এলে ওত পেতে থাকা প্রতিপক্ষরা লাঠি দিয়ে এলোপাথারি পিটিয়ে মাথায় জখমসহ বিভিন্ন স্থানে জখম করে পাশের ডোবায় ফেলে দেয়। প্রত্যক্ষদর্শী শামসুল হক আকান জানান, তিনি মাঠের ধান ক্ষেতে আগাছা নিরানির কাজ করছিলো। তখন ওই রাস্তা থেকে হঠাৎ শুনতে পায় লাঠি ভাঙ, লাঠি ভাঙ। তিনি তাকিয়ে দেখেন প্যান্ট শার্ট পড়া ৩ ব্যক্তি দৌড়ে পালাচ্ছে। তিনি ছুটে গিয়ে দেখেন ওই ডোবার মধ্যে সোহেল ছটফট করছে। তার ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে রাজাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক ও পরে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে তার মৃত্যু হয়। রাজাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আবুল খায়ের রাসেল জানান, সোহেল রানার কপালের ওপরের মাথার অংশে ধারালো অস্ত্রে আঘাতের জখমী চিহ্ন রয়েছে। রাজাপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) শেখ মুনীর উল গিয়াস জানান, জমিসহ স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ২ জনকে আটক করেছে।

(এএম/পি/অাগস্ট ২৬, ২০১৫)