বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফল পৌর সদরের মোখলেছ ভবন থেকে আজ শুক্রবার সকালে লোহার শিকলে বাঁধা রাকিব (৮) নামে এ শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। শিশু রাকিব নাজিরপুর ইউনিয়নের নীজ-তাঁতেরকাঠী গ্রামের কৃষক খালেক রাঢ়ীর ছেলে ও ৩১ নং বাকলা তাঁতেরকাঠী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ।

শিশুটির চাচি মৃত. বারেক রাঢ়ীর স্ত্রী মোর্শেদা বেগম জানায়, গত ১৯ আগস্ট বুধবার ঘরের বাক্স ভেঙ্গে এক হাজার টাকা চুরি করে পালিয়ে যায় রাকিব। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়েও পাওয়া যাচ্ছিল তাকে। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পৌর সদরের পাবলিক মাঠ সংলগ্ন রিক্সাস্টান্ড এলাকায় তার খালাতো ভাই পৌর সদরের মোকলেছ ভবনের বাউফল গার্মেন্টস নামে একটি কাপড়ের দোকানের কর্মচারী জুয়েলের চোখে পড়ে সে। জুয়েল তাকে মারধোর করে মোকলেছ ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে মার্কেটের কেয়ারটেকার খোকা মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে জুতাপেটা করে ও কোমরে শিকল দিয়ে সিড়ির নীচে ইলেকট্রিসিটি রুমের লোহার গেটের সঙ্গে বেঁধে রাখে রাকিবকে।
খবর পেয়ে এসআই মো. নাসিরের নেতৃত্বে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ও তালা ভেঙ্গে শিকলমুক্ত করে শিশুটিকে থানায় নিয়ে যায়।

তবে, এ ঘটনায় রাকিবের মা বেল্লা বেগম জুয়েলকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ‘স্কুলে না যাওনের লইগ্যা মাইর দেওনে রাকিব টাকা লইয়া ঘর থাইক্কা পলায় (পালিয়ে যায়)। হ্যারপর হের বুইন কাজল খোঁজ লইতে ফকির-কবিরাজও লাগায়। খবর পাইয়া পোলার বাপ খালেক রাঢ়ী রাকিবের খালাতো ভাই কেশবপুর গ্রামের সেরাজ হাওলাদারের ছেলে জুয়েলকে আটকাইয়া রাকতে কয়।’ শিশু রাকিবকে অনেকটা ডানপিটে স্বভাবের উল্লেখ করেন এবং জুয়েলকে নির্দোশ দাবী করে একই কথা বলেন, শিশুটির মামা দাশপাড়া গ্রামের মন্নান প্যাদা (০১৭৩৫১৬৫৫৫৯)।

সংশ্লিষ্ট আইনে অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত আ জ ম মাসুদুজ্জামান জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাকিবকে উদ্ধার এবং জুয়েল ও খোকা মিয়া নামে দুই জনকে আটক করা হয়।

(এমএবি/এসসি/অঅগস্ট২৮,২০১৫)