গোবিন্দগঞ্জ(গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। গোবিন্দগঞ্জের বিভিন্ন পয়েন্টে করতোয়া নদীর পানি শনিবার দুপুর পর্যন্ত বিপদ সীমার ৩১ সেঃমিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বর্তমানে উপজেলার এক তৃতীয়াংশ অঞ্চল বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। বন্যার কারণে কর্তৃপক্ষ উপজেলার ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু তারেক মোঃ রওনক আকতার জানান, চলতি বন্যায় উপজেলার ৩৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে ২৫টি বিদ্যালয়ে পাঠদানের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এহসানে ইলাহী জানান, বন্যার পানি প্রবেশ করায় উপজেলায় ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ আছে।

এদিকে বন্যায় ফলে উপজেলার কৃষির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ছাহেরা বানু জানান, উপজেলার মোট রোপা আমনের চার ভাগের এক ভাগ বন্যায় নিমজ্জিত রয়েছে। প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকায় প্লাবিত হওয়ায় এ ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের হিসাব মতে এবারের চলতি বন্যায় শনিবার পর্যন্ত উপজেলার শুধু রোপা আমনের ক্ষতি হয়েছে ৯১৪০ হেক্টর জমির।

বন্যায় উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা হুমকির সম্মুখীন। ইতিমধ্যেই উপজেলার দেওয়ানতলা ব্রীজ এপ্রোজ সড়ক, বিশুবাড়ী কালিতলা সড়কের চক রহিমাপুর নামক স্থানে পাকা সড়ক বন্যার পানির তোড়ে ভেসে গেছে। মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান জানান, শুক্রবার রাতে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে মহিমাগঞ্জ ও শালমারা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম। বন্যার পানির কারনে পুনতাইর মহিমাগঞ্জ সড়কের ফকিরপাড়া ব্রীজ ডেবে গিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

সেই সাথে বেড়ে চলছে জনদুর্ভোগ। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাব। বাড়ছে পানি বাহিত রোগ। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ত্রাণ দেয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। বন্যার্তদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানিয়েছে উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ।

(এসআরডি/পি/অাগস্ট ২৯, ২০১৫)