পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি: পীরগঞ্জে এক গ্রাম্য চিকিৎসক সহযোগীকে নিয়ে তার স্ত্রীকে রাস্তার মাঝে পিটিয়ে হত্যা করেছে।

শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার চতরা ইউনিয়নের ভগবানপুর ঈদগাহ্ মাঠের সামনে ঘটনাটি ঘটে।

পুলিশ জানায়, উপজেলার চতরা ইউনিয়নের চতরা ঘোনাবাড়ি গ্রামের মৃত-ধীরেন্দ্র নাথ বর্মণের পুত্র শ্রী সুকুমার চন্দ্র (৪৫) টুকুরিয়া ইউনিয়নের কুমরসই গ্রামের বিপিন চন্দ্র বর্মণের মেয়ে শ্রীমতি মায়া রানী (৪০) কে ২০ বছর আগে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই স্বামী সুকুমার চন্দ্র মদ-জুয়ায় আসক্ত হয়। প্রায় রাতেই মাতাল অবস্থায় সুকুমার স্ত্রী মায়া রানীকে মারপিট করতো।

গত মঙ্গলবার মায়াকে বেদম মারপিট করায় অসুস্থ অবস্থায় সে বাবার বাড়ি চলে যায়। গত শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মায়া ওষুধ নিতে তার মামাতো ভাই মনোরঞ্জনকে সাথে নিয়ে চতরাহাটের পল্লী চিকিৎসক ফিরোজ মিয়ার দোকানে আসে। ওষুধ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ভগবানপুর ঈদগাহ্ মাঠের সামনে পৌঁছা মাত্র স্বামী সুকুমার ও তার সহযোগী শাহীন পথরোধ করে মায়াকে বেদম মারপিটের পর মৃত্যু নিশ্চিত করে রাস্তায় ফেলে যায়।

ওই ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে ভগ্নিপতিসহ ২ জনকে আসামী করে পীরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। লাশ মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।

(জিকেবি/এলপিবি/আগস্ট ৩০, ২০১৫)