সিলেট প্রতিনিধি : সিলেটের শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন (১৪) হত্যা মামলার পলাতক তিন আসামিকে ৭ দিনের মধ্যে আদালতে হাজির এবং তাদের পলাতক দেখিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

তিন আসামি হলেন, কামরুল ইসলাম, শামীম আহমদ ও মো. জাকির হোসেন। আজ সোমবার মহানগর হাকিম আদালতে মামলার শুনানি শেষে বিচারক সাহেদুল করিম এ নির্দেশ দেন।

রাজনের বাবার পক্ষের আইনজীবী শওকত চৌধুরীর ভাষ্য, আদালত এই নির্দেশ দিয়ে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।

গত ৮ জুলাই চুরির অভিযোগে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন শেখপাড়ায় নির্যাতন করে হত্যা করা হয় সবজিবিক্রেতা শিশু সামিউল রাজনকে। তার বাড়ি সিলেটের জালালাবাদ থানা এলাকার বাদেয়ালি গ্রামে। লাশ গুম করার চেষ্টার সময় ধরা পড়েন একজন। পরে একে একে জনতা ধরিয়ে দেয় সামিউল হত্যা মামলার আসামিদের। পালিয়ে সৌদি আরব গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়েন ঘটনার মূল হোতা কামরুল ইসলাম। তিনি সে দেশেই আছেন।

আসামি কামরুলের দেশ ছেড়ে পালানোর ঘটনার শুরুর দিকে গাফিলতির অভিযোগে গত ২৭ জুলাই সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানার তৎকালীন পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) আলমগীর হোসেন, উপরিদর্শক আমিনুল ইসলাম ও মো. জাকির হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

১৬ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেছিলেন। পরদিন আদালতে অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পলাতক তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে মালামাল জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়।

(ওএস/এএস/আগস্ট ৩১, ২০১৫)