গাইবান্ধা প্রতিনিধি :অবিরাম বৃষ্টিপাতে গাইবান্ধার অন্যান্য নদীর পানি হ্রাস পাওয়া বন্ধ হয়ে অপরিবর্তিত রয়েছে এবং বিপদসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে করতোয়া নদীর পানি এখনও বিপদসীমার ১০ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে জেলার বন্যা কবলিত গোবিন্দগঞ্জ ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষরা দীর্ঘদিন পানিবন্দী থাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এদিকে জেলার সুন্দরগঞ্জ, গোবিন্দগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়িতে নদী ভাঙনের তীব্রতা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিশেষ করে রোপা আমন চারা ও সবজি ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কৃষকরা পড়েছে চরম বিপাকে। ক্ষেত থেকে সম্পুর্ণ পানি সরে না যাওয়ায় তারা নতুন করে আমন চারা বা সবজি চাষ করতে পারছে না। বন্যা দীর্ঘায়িত হলে শাক সবজি ও রোপা আমন ধান উৎপাদন বিঘিœত হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। এছাড়া মাছ চাষেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য ত্রাণ সহায়তা হিসেবে ২শ’ ৪০ মে. টন চাল ও ৬ লাখ ১০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগ বন্যা দুর্গত এলাকায় জরুরী চিকিৎসার জন্য বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন করেছে বলে জানা গেছে।

(আরআই/এসসি/আগস্ট৩১,২০১৫)