জকিগঞ্জ(সিলেট)প্রতিনিধি :প্রবল বর্ষণ ও ভারতের পাহাড়ী ঢলে জকিগঞ্জে সুরমা-কুশিয়ারার পানি আমলশীদ মোহনায় বিপদ সীমার ১৫.৮৫ সেন্টিমিটারের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমা কুশিয়ারা বেঁড়ি বাঁধ উপছিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে।

জায়গীরদার খালসহ বিভিন্ন খালনালা দিয়েও নদী থেকে প্রবল বেগে পানি লোকালয়ে ঢুকে তলিয়ে গেছে প্রায় ৮শত হেক্টর জমির ফসল। পানির তোড়ে ভেঙ্গে গেছে শেওলা-জকিগঞ্জ সড়কের পাঞ্জিপুরী ব্রিজ। ফলে বিচ্ছিন্ন রয়েছে শেওলা-জকিগঞ্জ-সিলেট সড়ক যোগাযোগ।

হাওরের পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় জকিগঞ্জ রয়েছে মারাতœক বন্যা ঝুঁকিতে। নদী তীরবর্তী মানুষ রাত কাটাচ্ছেন আতঙ্কে।

উপজেলায় সুরমা কুশিয়ারা তীরবর্তী বারহাল, বীরশ্রী, খলাছড়া, বারঠাকুরী, মানিকপুর, সুলতানপুর, জকিগঞ্জ, কাজলসার ইউনিয়ন ও পৌরসভার বিস্তীর্ণ এলাকায় তলিয়ে গেছে রোপা আমন ধান। বন্যাকবলিত কোনো কোনো এলাকায় রাস্তায়, বিদ্যালয়ে পানি উঠে গেছে। পানি বন্দী হয়ে পড়েছেন প্রায় ত্রিশ হাজার মানুষ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফখরুল আলম জানান, বন্যায় জকিগঞ্জে বিপুল পরিমাণ রোপা আমন নষ্ট হবার খবর শুনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক সাদি উদ্দিন জকিগঞ্জ সফর করেছেন। তিনি জানান বন্যায় জকিগঞ্জে রোপা আমনের প্রায় সাত কোটি টাকার ফসল তলিয়ে গেছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার টিটন খীসা জানান, লক্ষীবাজার, মানিকপুরসহ সুরমা-কুশিয়ারার ঝুঁকিপূর্ণ বেঁড়ীবাধে জরুরী ভিত্তিতে মাটি-ইটের বস্তা ফেলা হয়েছে।

(এসকেপি/এসসি/আগস্ট৩১,২০১৫)