গাইবান্ধা প্রতিনিধি: উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে গাইবান্ধায় ঘাঘট, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও করতোয়া নদ নদীর পানি আবারও মঙ্গলবার রাত থেকে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।

ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি ইতোপূর্বে বিপদসীমার নিচে নামলেও পানি আবারও বেড়ে এখন তা বিপদসীমার ৩ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি চলে এসেছে। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই আবারও বন্যা কবলিত এলাকার রাস্তাঘাট, ফসলের ক্ষেত জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া নদী ভাঙনও তীব্র আকার ধারণ করেছে। জেলার সুন্দরগঞ্জ, গোবিন্দগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়িতে নদী ভাঙনের তীব্রতা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে এখনও ফসলের ক্ষেতে পানি থাকায় নতুন করে আমন চারা বা সবজি চাষ করতে না পারায় কৃষকরা বিপাকে। বন্যা দীর্ঘায়িত হলে শাক সবজি ও রোপা আমন ধান উৎপাদন বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। এছাড়া মাছের পোনার অভাবে মাছ চাষিরা তাদের পুকুরে নতুন করে মাছ চাষ করতেও পারছেন না। বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য ত্রাণ সহায়তা হিসেবে জেলার সাতটি উপজেলায় ২শ’ ৪০ মে. টন চাল ও ৬ লাখ ১০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

তবে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হওয়ায় ওই উপজেলায় অতিরিক্ত আরও ২৫ মে. টন চাল বিতরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগ বন্যা দুর্গত এলাকায় জরুরী চিকিৎসার জন্য বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন করেছে বলে জানা গেছে।

(আরআই/এলপিবি/সেপ্টেম্বর ২, ২০১৫)