লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি: নড়াইলের লোহাগড়ার মোর্শেদা সার্জিক্যাল ক্লিনিকে একজন নার্সের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় তার পিতা বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।

উপায়ান্তর না দেখে পিতা লোহাগড়া ক্লিনিক এসোসিয়েশনের সভাপতি/সম্পাদক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে, উপজেলার ডাক বাংলো সংলগ্ন মোর্শেদা সার্জিক্যাল ক্লিনিকে কর্মরত নার্স মিনতী খানম (২০) গত শুক্রবার (২৮ আগষ্ট) রাত দেড়টার দিকে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে ক্লিনিকের মালিক মিজানুর রহমান ও নার্স রুপালী বেগম লোহাগড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শনিবার (২৯ আগষ্ট) ভোর রাতেই নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যূ হয়। নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে তার লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়। মিনতী বাঘারপাড়া উপজেলার ধোহাকোলা গ্রামের মোঃ হোসেন আলীর মেয়ে।

ওই ক্লিনিকে কর্মরর্ত নার্স রূপালী খানম সাংবাদিকদের বলেন, মিনতী ৯ মাস ধরে ওই ক্লিনিকে কর্মরর্ত ছিল। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সে ক্লিনিকে আসে। গভীর রাতে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে ক্লিনিকের মালিক মিজানের সহযোগীতায় তাকে লোহাগড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ক্লিনিকে কর্মরত নার্সের মৃত্যূর পর ওই ক্লিনিকের মালিক গা ঢাকা দিয়েছিলেন।

এ দিকে মিনতীর পিতা হোসেন আলী গত বুধবার লোহাগড়ায় এসে ক্লিনিক এসোসিয়েশনের সভাপতি/সম্পাদক বরাবর তার মেয়ে মিনতীকে ওই ক্লিনিক মালিক নির্যাতনের পর মেরে ফেলেছে বলে সুষ্ঠ বিচারের দাবীতে এক অভিযোগ দায়ের করেন।

কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বলেন, ‘আমার মেয়ে অত্যন্ত ভদ্র সে আত্মহত্যা করতে পারে না। আমি ওই ক্লিনিকের মালিকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করবো। ময়না তদন্ত রিপোটের্র অপেক্ষায় আছি।

তিনি আরও বলেন, আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে, আমি আপনাদের সবার কাছে এ হত্যার বিচার চাই। এ সময় মিনতীর চাচা আব্দুস সামাদ ও বাঘারপাড়ার ধোহাকোলা গ্রামের ইউপি সদস্য ফিরোজ হোসেন ভুট্টো উপস্থিত ছিলেন।

লোহাগড়া ক্লিনিক এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ মোরাদ কাজী বলেন, আমি মেয়ের পিতার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তবে তদন্ত করে বিষয়টা কি করা যায় দেখব।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, বহু বিবাহের নায়ক ক্লিনিকের মালিক মিজানুর রহমানের সাথে নার্স মিনতী খানমের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন রাতে তার ওপর পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে তার রহস্যজনক মৃত্যু হতে পারে। এ ব্যাপারে ক্লিনিকের মালিক মিজানুর রহমানের (০১৭১২২৫৩৬৯৮) মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি সৃষ্ট ঘটনার কোন সন্তোস জনক উত্তর দিতে পারে নাই।

(আরএম/এলপিবি/সেপ্টেম্বর ২, ২০১৫)