কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামের মহানায়ক যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ওরফে বাঘা যতিনের মৃত্যু শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া গ্রামে তার বাস্তভিটায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুরে বাঘা যতীনের বাস্তভিটায় কয়া মহাবিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত এ আলোচনায় বাংলাদেশ ও ভারত থেকে আসা অতিথীবৃন্দরা অংশ নেন।

বাঘা যতীনের মৃত্যু শতবার্ষীকি উদযাপন জাতীয় কমিটির যুগ্ম চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুনতাসীর মাহমুদের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাঘা যতীনের পৌত্র ভারত থেকে আগত শ্রী ইন্দুজ্যোতি মুখোপাধ্যায়।

এছাড়াও উপমহাদেশের মুক্তি সংগ্রামে বিপ্ল¬বী বাঘা যতীনের অবদান তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, মুক্তিযুদ্ধকালীন ৮নং সেক্টরের অধিনায়ক লে: কর্ণেল (অব:) আবু ওসমান চৌধুরী, ভারত থেকে আগত শ্রী অরিন্দম মুখোপাধ্যায়, কয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম স্বপন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বাঘা যতীনের নামে ভারতবর্ষে অনেক কিছু রয়েছে। বাঘা যতীন যুদ্ধে বিজয়ী হলে ভারতবর্ষের ইতিহাস লেখা হত অন্যভাবে। সেই বাঘা যতীন যেখানে তার সবকিছু সেই কয়ায় যতীনের নামে কয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে ও এর সামনের সড়কের নামকরন দাবি করেন বক্তারা। এছাড়াও বাঘা যতীনকে ছড়িয়ে দিতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।

উল্লেখ্য, আগামী ১০ সেপ্টেম্বর বাঘা যতীনের ১০০ তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯১৫ সালের এই দিনে অকুতোভয় এ মহান বিপ¬বী মৃত্যু বরণ করেন। কুষ্টিয়ার কয়া গ্রামে জন্ম নিয়ে তিনি কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন ব্রিটিশ শাসনের ভিত। ভারতবর্ষকে পরাধীনতার শেকল ভেঙে মুক্ত করার জন্য মাত্র চার কিশোর-যোদ্ধাকে নিয়ে সাড়ে চার হাজার ব্রিটিশ সৈন্যের বিশাল বাহিনীর সঙ্গে যে মরণযুদ্ধ করেন, তা ছিল ভারতবর্ষে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রথম সংঘবদ্ধ সম্মুখযুদ্ধ। এ যুদ্ধেই তিনি মৃত্যু বরণ করেন।


(কেকে/এসসি/সেপ্টম্বর ০২,২০১৫)