স্টাফ রিপোর্টার :প্রায় তিনবছর পর বাংলাদেশ তাজরীন ফ্যাশন্সের অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

বৃহস্পতিবার অভিযোগ গ্রহণের পর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১ অক্টোবর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
আসামীদের বিরুদ্ধে ‘অপরাধমূলক মানুষ হত্যা’ ও ‘অবহেলার কারণে মৃত্যুর’ অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযুক্তদের মধ্যে কারখানার মালিক দেলোয়ার হোসেন এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার রয়েছেন।

সরকারি আইনজীবী খন্দকার আব্দুল মান্নান বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, ১ অক্টোবর থেকে মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে। দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।

এর আগে মামলাটির শুনানি অনেকবার পেছানো হয়।

২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে পুলিশ। সেখানে কারখানার মালিক দেলোয়ার হোসেনসহ মোট ১৩জন আসামী করা হয়।

ওই মামলায় তাজরীনের মালিক দেলোয়ার হোসেন গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে গ্রেপ্তার হলেও, আগস্ট মাসে জামিনে মুক্তি পান।


২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর ওই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তাজরীন ফ্যাশন্সের ১১১জন কর্মী দগ্ধ হয়ে মারা যান।

পরদিন আশুলিয়া থানার একজন উপ-পরিদর্শক কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। পরের বছর জানুয়ারীতে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় অপরাধ তদন্ত বিভাগ।

ওই ঘটনার বিচারের জন্য দেশের ভেতরে ও বিদেশ থেকে সরকারের উপর চাপ রয়েছে।

সেই ঘটনার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছিল সেখানে তাজরীন গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডকে নাশকতা বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল।

তখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে এ কথাও বলা হয়েছিল যে, সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম নস্যাৎ এবং সরকারের পতনের লক্ষ্যেই সে অগ্নিকাণ্ড ঘটানো হয়।

অবশ্য একই প্রতিবেদনে কারখানার মালিককে অভিযুক্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবার সুপারিশ করা হয়।


(ওএস/এসসি/সেপ্টেম্বর০৩,২০১৫)