কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নের ছয়না গ্রামের জয়নাল মিয়ার মেয়ে মোছা. তাহমিনা (১৪) কে ধর্ষণের পর হত্যা করার অভিযোগে স্থানীয় লোকজন তাহমিনার লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বৌলাই এলাকার শত শত নারী-পুরুষ গ্রাম থেকে লাশ নিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা সদরে প্রবেশ করে। এ সময় কিশোরগঞ্জ মহিলা পরিষদের সভানেত্রী রাজিয়া সুলতানা, এ্যাডভোকেট হামিদা বেগম, নারীনেত্রী বিলকিছ বেগম, এ্যাডভোকেট এনামুল হকসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মিছিলে অংশগ্রহন করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে তাহমিনা হত্যার ঘটনা নিয়ে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক জিএসএম জাফর উল্লাহ্ এর নিকট দাবি জানান।

নিহত তাহমিনার পরিবার সূত্রে জানা যায়, ঢাকা মিরপুর মনিপুর এলাকার এ্যাড. মামুন হোসেন লিটন এর বাসায় গত ৬/৭ মাস পূর্বে বাসার কাজের মেয়ে হিসেবে চাকুরী নেয়। চাকুরী নেয়ার কিছুদিন পর থেকে তার উপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হতো। গত ০১ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জের গ্রামের বাড়ীতে ঢাকা থেকে ফোন করে জানানো হয় তাহমিনা আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে তার পিতা ঢাকা গেলে তাকে দিয়ে জোর পূর্বক মিরপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করিয়ে (অপমৃত্যু মামলা নং- ২৭, তারিখ- ০২/০৯/২০১৫) লাশ গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।

তাহমিনার পরিবার ও এলাকাবাসীর অভিযোগ তাকে শারীরিক নির্যাতনসহ ধর্ষন করে হত্যা করে লাশ ফ্যানে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মোশাররফ হোসেন বলেন, আমি ও তাহমিনার আত্মীয়-স্বজন মীরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এর সঙ্গে কথা বলেছি, পুনরায় হত্যা মামলা নিবে বলে আমাকে আশ্বাস প্রদান করেছেন।

(পিকেএস/এএস/সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৫)