সিলেট প্রতিনিধি : সিলেটের একটি ছাত্রাবাস থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও গণজাগরণ মঞ্চের সক্রিয় এক কর্মীর গলায় ফাঁস লাগানো মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ছাত্রের তার নাম মোহাম্মদ শাহরিয়ার মজুমদার। ফাঁস লাগানো জানালার গ্রিলের উচ্চতা থেকে ওই ছাত্রের উচ্চতা বেশি হওয়ায় কীভাবে তার মৃত্যু হলো এনিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় নগরের আখালিয়ার সুরমা আবাসিক এলাকার চার নং রোডের বি ব্লকস্থ ৫৪ নম্বর বাসা থেকে শাহরিয়ারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি স্থাপত্য বিভাগের ২০০৮-০৯ ব্যাচের ছাত্র। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার পাহাড়তলীতে।

সুরমা আবাসিক এলাকার ওই বাসার চারতলায় অবস্থিত নিজ কক্ষে জানালায় বেল্ট দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ছিল শাহরিয়ারের মরদেহ। শাহরিয়ারের রুমমেটরা জানান, বিকেলে তাকে রুমে রেখে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাইরে যান। পরে তারা ফিরে অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায় পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে রাত ৯টায় দরজা ভেঙে জানালার গ্রিলের সঙ্গে বেল্ট দিলে ফাঁস লাগানো মরদেহ উদ্ধার করে।

জানালার গ্রিলের উচ্চতা থেকে তার উচ্চতা বেশি হওয়ায় কীভাবে তার মৃত্যু হলো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এনিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। এটা হত্যা না আত্মহত্যা সেটিও কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউ।

শাহরিয়ার বিশ্ববিদ্যলয়ে পড়াকালীন শাবিপ্রবি সাংস্কৃতিক জোটের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি সিলেট গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম কর্মী ছিলেন। শাহরিয়ারের ফেসবুক টাইমলাইন ঘেঁটে দেখা যায় তিনি বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ২৭ মিনিটে সর্বশেষ পোস্ট করেন। পোস্টটি ছিল ব্লগার অনন্ত বিজয় হত্যাকাণ্ড বিষয়ক।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হক ভুঁইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান চৌধুরী এবং স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৫)