তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: চলনবিলে বন্যার পানি আবারও বৃদ্ধি পাওয়াতে প্রায় ৩ শতাধিক মাছ চাষকৃত পুকুর তলিয়ে গেছে। এতে প্রায় কয়েক কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে।

মাটি দিয়ে পুকুরের পাড় উচুসহ নেটজাল দিয়ে বেড়া তৈরী করেও মাছ ঠেকাতে চাষীরা হিমশিম খাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন স্থানের মত গত ১০ দিন ধরে চলনবিলে বন্যার পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। সার্বিক বন্যা পরিস্তিতির অবনতি না হলেও বোনা আমন ও রোপা আমন ধানের ডগায় পানি চলে আসে। মাঝখানে ২/৩ দিন পানি বৃদ্ধি বন্ধ থাকলে কৃষক ও মাছ চাষীরা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে। গত ২ দিন ধরে আবার চলনবিলে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়াতে প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সেই সাথে পুকুর তলিয়ে যাওয়াতে মাছ চাষীরা বিপাকে পরেছে।

তাড়াশ উপজেলায় ইতিমধ্যে ২ শতাধিক পুকুরের পাড় ডুবে লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ ভেসে গেছে। তাড়াশ দক্ষিণ পাড়ার মাছচাষী আক্কাস আলী, কুসুম্বী গ্রামের মাছচাষী মহর সরকার জানান, ১ লক্ষ টাকা দিয়ে পুকুর লিজ নিয়ে মাছ ছাড়ার পর বন্যায় পুকুরের পাড় তলিয়ে গেছে। এতে পুকুর ডুবে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মাছ অন্যত্র চলে গেছে। পুকুরের চারপাড়ে নেট জাল দিয়েও মাছ রক্ষা করতে পারি নাই।

তাড়াশ সদরের তাহাজ উদ্দিন জানান, শত চেষ্টা করেও বন্যার পানির হাত থেকে পুকুর রক্ষা করতে পারি নাই। পুকুর পাড়ে ১ হাটু পানি হয়েছে। নেটজাল দিয়ে বেড়া দিলেও মাছ রাখা কষ্টসাধ্য হয়ে পরেছে। প্রায় ২ লক্ষ টাকার মাছ ভেসে গেছে। বিশেষ করে তাড়াশে নতুন খননকৃত অধিকাংশ পুকুর বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যহত থাকলে আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে আরও শতশত পুকুর ভেসে যাবে। এদিকে বন্যার পানিতে পুকুর ডুবে যাওয়াতে নেট জালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ১ হাজার টাকার নেটজাল বর্তমানে ১৫'শ থেকে ১৮'শ টাকায় কিনতে হচ্ছে। অনেক সময় আবার ঠিকমত পাওয়া যায় না। চলনবিলের মাছচাষীরা সংকটময় দিন কাটাচ্ছে। মাছ ধরার চেয়ে মাছ রক্ষা করতে তারা হিমশিম খাচ্ছে।

(এমএমএইচ/এলপিবি/সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৫)