গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার নদ-নদী গুলোর পানি বাড়তে থাকায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করছে।

গত ১২ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে বেড়ে বিপদসীমার ৫৭ সে:মি এবং ঘাঘট নদীর পানি ৬০ সে:মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে বন্যা কবলিত মানুষজনের বিভিন্ন ধরণের দুর্ভোগ বাড়ছে। জেলার চরাঞ্চলের মানুষজন চরম বিপাকে পড়েছে তাদের একমাত্র সম্পদ গবাদি পশু প্রাণি নিয়ে। একদিকে গবাদি পশু রাখার উঁচু স্থান না থাকা অন্যদিকে ডাকাতি আতংকে থাকা জেলার ফুলছড়ি, সদর, সুন্দরগঞ্জ ও সাঘাটা উপজেলার ৩১টি ইউনিয়নের ৫০ হাজার পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে গবাদিপশু নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছে।

তবে ডাকাতি রোধে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ টহলের উদ্যোগ নিলেও প্রতিনিয়িত গরু ডাকাতির ঘটনা ঘটেই চলছে। বন্যায় সাত উপজেলার ৬২ ইউনিয়নের ৩'শ ৫৩ গ্রামের প্রায় ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, টয়লেট সমস্য, গো-খাদ্য সংকটসহ নানা ধরনের দূর্ভোগে রয়েছে। সেই সাঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থাও সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে। এখন বন্ধ রয়েছে জেলার ১২১টি প্রাথমিক ও ২৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ।

বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য ত্রাণ সহায়তা হিসেবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত ৪০০ মে. টন চাল ও ৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং জেলা পরিষদ ২০ মণ চিরা ৩ মণ গুর বিতরণ করেছে।

(আরআই/এলপিবি/সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৫)