রাণীশংকৈল প্রতিনিধি: ঠাকুরগাওয়ের রাণীশংকৈল ভাংবাড়ি গ্রামে শনিবার দুপুরে শাসক দলের ক্যাডাররা জমি দখলের উদ্যোশে নুর আলম গং-এর প্রায় ২০০ ফলজ আমগাছ ও ১৫টি ইউক্লাক্টর গাছ কেটে ফেলেছে। ভেঙ্গে ফেলেছে ঘরবাড়ি।

ক্যাডারদের আক্রমনে প্রাণভয়ে ছুটাছুটি করতে থাকে ঐ এলাকার মানুষেরা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ভুক্তভোগী নুর আলম বাদি হয়ে বিবাদীগণের বিরুদ্ধে রাণীশংকৈল থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে থানা অফিসার ইনচার্জ সুকুমার মোহন্ত অভিযোগ গ্রহণ করেননি বলে অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ভাংবাড়ী মৌজাস্থিত এস এ খতিয়ান নং ৩, ৪ ও ৫, সিএস ও এস এ দাগ নং ৮৩৮, ৮৯৬ ও ৮৯৮ নং দাগে জমির পরিমান ১৫২৭ শতাংশ, এর দাগে ১৪২০ শতাংশ তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি এসএ খতিয়ানে আমাদের পুর্ববতী দেরনাম রেকর্ডভূক্ত থাকাবস্বায় আমরা খরিদ, হেবা ও ওয়ারীশ সূত্রে মালিক হয়ে নিজ নিজ নামে খারিজ করে ভূমি উন্নয়ন, বিদুৎ, পানি ও হোল্ডিং কর পরিশোধ করে আমরা স্থায়ীভাবে পাকা, আধাপাকা, টিন সেট ও কাঁচা বাড়ীঘর করি। বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ নেই রাস্তা নির্মাণ করি, পুকুর, বাগান, সরকারী প্রাথমিক স্কুল, ঈদগাহ, মসজিদ, কবরস্থান ও গভীর নলকূপ স্থাপন করেছি বিবাদীসহ সকলের জ্ঞাতসারে দীর্ঘ ৬০ বছরের অধিক সময় ধরে সুখাধিকারভাবে ও নির্বিবাদে শান্তি পুর্নভাবে মালিকানাসহ ভোগদখল করে আসছি। কিন্তু আকস্মকিভাবে বিবাদী- ১) আমিনুল ইসলাম (৬০), ২) আজিজুল ইসলাম (৫৫) ও ৩) সহিদুল ইসলাম (৫০), পিতা- মৃত আব্দুর রহিম, সাং-দশিয়া, রানীশংকৈল, ঠাকুরগাঁও।

৪) হুমাযুন কবির, ৫) মোঃ ইকবাল, (আ’লীগ নেতা) পিতা-মৃত নজরুল ইসলাম, ৬) মামুনুর রশিদ এলবাট (যুবলীগ-সহ-সভাপতি) পিতা-মৃত আমিনুল ইসলাম, সাং-পুর্ব বনগাও পো:- বনগাওঁ থানা- রানীশনকৈল, জেলা- ঠাকুরগাঁও।

৭) গোলাম মোস্তফা পিতা-মৃত চানমিয় সাং-বলিদ্বাড়া পোঃ- বলিদ্বাড়া থানা- রানীশনকৈল, জেলা- ঠাকুরগাঁও সহ প্রায় ২০০/৩০০ জন সন্ত্রাসী, সাওতাল প্রকৃতির লোকসহ তীর ধুনুক, বলম, ফার্সা, লাঠি, সটা, লেবার শ্রেণির লোক আনয়ন করে বাগানের বৃক্ষ করাত দ্বারা কর্তন খেতের ফসলাদী ও বাড়ীতে হামলা চালায়।

বিবাদীগণ পাওয়ার অব এটর্নির ক্ষমতাবলে এ হামলা চালায় বলে জানা গেছে। বাদিগণের চিৎকার ও সরগলের শব্দে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসে। থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। বিবাদীগণ চলে যাওয়ার সময় প্রাণনাশের হুমকী প্রদান করে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ব্যাপারে হুমায়ুন কবিরের নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।

রাণীশংকৈল থানা ওসি তদন্ত মোঃ সিরাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান ঘটনাটি অমানবিক, দোষীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(কেএএস/এলপিবি/সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৫)