তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : তাড়াশে সার্বিক বন্যার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গত ২৪ঘন্টায় ১৮ইঞ্চি বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়াতে প্রায় ১৫শ’ হেক্টর জমির রোপা আমন ধান ডুবে গেছে। সেই সাথে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ইতিমধ্যে শতাধিক বাড়িঘরে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যহত থাকায় উপজেলার সগুনা ও মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়নের ঘরবাড়ির বেশী ক্ষতি হয়েছে।

ইতিমধ্যে অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে উচু স্থান ও আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান এ পর্যন্ত তাড়াশ উপজেলায় প্রায় ১৫শ’ হেক্টর জমির রোপা আমন, সাক সবজির ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। প্রতিদিন বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়াতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। প্রতি ২৪ঘন্টায় ১৮ থেকে ২০ ইঞ্চি পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতিমধ্যে উপজেলায় প্রায় ১হাজার পুকুর বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। ফলে কয়েক কোটি টাকার মাছ বন্যার পানিতে মিশে গেছে।

মাছচাষীরা জানান, যে ভাবে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তা অব্যহত থাকলে আগামী ২/১দিনের মধ্যে ৫ থেকে ৬হাজার পুকুর বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এত দ্রুত বন্যার পানি বৃদ্ধি পাবে তা কেউ ভাবতে পারেনি। মাগুড়াবিনোদ আশ্রয়ন কেন্দ্রে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। বিভিন্ন রাস্তা ঘাট বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় স্কুল গামী ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে যেতে পারছেনা। গ্রামাঞ্চলের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি কমে গেছে। সগুনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মহরী জানান, আমার ইউনিয়নের চর এলাকায় অনেক ফসলের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। তাছাড়া বিল এলাকায় ঘরবাড়ির মধ্যে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। অনেক হাট বাজার পানিতে ডুবে গেছে।

এদিকে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে সাপ ও পোকা মাকড়ের উপদ্রব্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ধাপতেতুলিয়া ও সান্দুরিয়া বাজার বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম জানান, আমি ঢাকাতে ট্রেনিং করার জন্য অবস্থান করায় তেমন খোজখবর নিতে পানি নাই। তবে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে খুব জোরে সোরে। তিনি বাড়িঘরের ডুবে গেছে কিনা তার কোন তথ্য দিতে পারেনি। তবে তাড়াশে সার্বিক বন্যার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

(এমএমএইচ/এএস/সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৫)