কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : বন্যা ও জলাবদ্ধ প্রবন এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন কৌশল হিসাবে ভাসমান শাকসবজি ও মসলা উৎপাদন প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় উদ্বুদ্ধকরণ ভ্রমণ কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

সোমবার কিশোরগঞ্জের মহিনন্দের কলাপাড়া ব্লকের কাশোরারচর বিলের ভাসমান শাকসবজির আবাদকৃত জমি পরিদর্শন করেন হাওরবেষ্টিত নিকলী উপজেলার ৩০ জন কৃষক কৃষাণী।

কৃষি বিভাগ জানিয়েছে সারাদেশের ১০ জেলার ৪২ টি উপজেলায় ভাসমান শাকসবজি আওতায় বন্যা ও জলাবদ্ধ প্রবন এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন কৌশল হিসাবে ভাসমান শাকসবজি ও মসলা উৎপাদন প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১০ জেলা গোপালগঞ্জ, বরিশাল, পিরোজপুর, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, বি বাড়িয়া, হবিগঞ্জ, সাতক্ষীরা, চাঁদপুর কিশোরগঞ্জ, থেকে প্রায় ৩০ জন উপজেলা কৃষি অফিসার এবং কৃষি সম্প্রসারণ অফিসারগণ জেলা সদরের মহিনন্দ ইউনিয়নের কাশোরারচর বিলের জলাবদ্ধ পানিতে ভাসমান শাকসবজির বেড পরিদর্শন করেন।

নিকলী উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা গোলাম মস্তফার নেতৃত্বে ভাসমান বেডে সবজি উৎপাদনের কার্যক্রম পরিদর্শনে আসেন হারাঞ্চলের কৃষকরা। এ সময় ভাসমান পানিতে শাকসবজির আবাদ বিষয়ে কৃষকদের ধারণা দেন সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মনিরুল ইসলাম,অতিরিক্ত কৃষি অফিসার দিলরুবা ইয়াসমিন, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ সালাহউদ্দিন কায়সার, উপ সহকারি কৃষি অফিসার উম্মে কুলসুম জেবুন্নেচ্ছা নাসিমা, রবিউল করিম, আলাউদ্দীন প্রমুখ।

সদর উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় উদ্ধুদ্ধকরণ ভ্রমন সফরে আসা কৃষকরা পানির উপরে ভাসমান শাকসবজি আবাদ দেখে হাওরাঞ্চলেও অনুরুপ চাষাবাদের অভিজ্ঞতা অর্জন করেন বলে আগত কৃষকরা জানান।

(পিকেএস/এএস/সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৫)