সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক মাদক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা সদরের ইছাপুর বকুলের ইটভাটায় এ ঘটনা ঘটে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতের নাম মুনসুর মোল্ল্যা (৫০)। তিনি শ্যামনগর উপজেলা সদরের চণ্ডিপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ মোল্লার ছেলে।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইনামুল হকের ভাষ্য মতে, কয়েকজন মাদক পাচারকারি বিপুল পরিমান ইয়াবা, ও গাজা নিয়ে ইছাপুর বকুলের ইটভাটার দিকে যাচ্ছে মর্মে তিনি খবর পান। এরই ভিত্তিতে উপপরিদর্শক নাজমুল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাদেরকে ধাওয়া করে। এ সময় তারা ওই ইটভাটার মধ্যে যেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি ছোঁড়ে। কিছুক্ষণ পর অন্যরা পালিয়ে গেলেও মুনসুর মোল্লা নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে ডান পায়ের হাঁটুর নীচে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। মাদক ব্যবসায়ীদের ছোঁড়া ইটের আঘাতে দু’পুলিশ সদস্য আহত হয়। গুলিবিদ্ধ মাদক ব্যবসায়িকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ২৮ পিস ইয়াবা ও ১০০ গ্রাম গাজা উদ্ধার করেছে।

মুনসুরের বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানায় ৫টি মাদকের মামলা রয়েছে। পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় উপসহকারি পরিদর্শক বাদশা মিঞা বাদি হয়ে মুনসুর আলীকে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ পরিমল কুমার বিশ্বাস জানান, সোমবার দিবাগত রাত ২টা ২৫ মিনিটে মুনসুরকে ভর্তি করা হয়েছে। তার ডান পায়ের হাঁটুর নীচে গুলি লেগেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে গুলিবিদ্ধ মুনসুর নিজেকে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার না করেই সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, সোমবার বিকেল তিনটার দিকে উপপরিদর্শক নাজমুল তাকে উপজেলা সদরের বাসষ্টাণ্ড এলাকা থেকে আটক করেন। এরপর তাকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করার পর থানায় নিয়ে গিয়ে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ডান পা ভেঙে দেওয়া হয়। রাতে তার দু’চোখ বেঁধে দূরবর্তী কোন নির্জন স্থানে নিয়ে ডান পায়ের হাঁটুর নীচে বন্দুকের নল ঠেকিয়ে পুলিশ গুলি করেছে।

(আরকে/এলপিবি/সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৫)