নওগাঁ প্রতিনিধি: “সখি বিন্দাদূতির (বিন্দে) মাধ্যমে কথা হয়েছিল, রাতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আসবেন শ্রীমতি রাধা রানীর কুঞ্জে। তাঁকে বরন করতে সন্ধ্যা থেকেই  ধুপ-দ্বীপ জ্বালিয়ে অর্ঘ্য হাতে অপেক্ষা করছিলেন রাধা রানী।

কিন্তু রাত গড়িয়ে প্রভাত হয়। শ্রীকৃষ্ণ আর আসেনা। রাধারানীর ধৈর্য্যরে বাঁধ যেন ভেঙ্গে যায়। বিন্দেকে জানায় তার ক্ষোভের কথা। ঠিক সূর্যোদয়ের আগ মুহুর্তে ঘুমে আচ্ছন্ন ঢুলু ঢুলু নয়নে শ্রীকৃষ্ণ হাজির হলেন শ্রীমতি রাধারানীর কুঞ্জে। যথা সময়ে না এসে বিলম্বে আসার কারে সারা রাতের রাগ-ক্ষোভ কৃষ্ণকে দেখেই পরিনত হয় মান-অভিমানে। কোনভাবেই শ্রীকৃষ্ণকে কুঞ্জে ঠাঁই দিতে চায়না রাধারানী। এসময় বিন্দের পরামর্শে শ্রীকৃষ্ণ রাধারানীর মান ভাঙ্গাতে মরিয়া হয়ে ওঠেন।

মুলতঃ এমনই ধর্মীয় কাহিনী নিয়েই রাধা-কৃষ্ণের এই মানভঞ্জন পালা।

মঙ্গলবার রাতে শহরের শ্রীশ্রী রাধা-গোবিন্দ জিঁউ ঠাকুর বাড়িতে (আখড়াবাড়ি) ৫দিনব্যাপী শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসবের অনুষ্ঠানমালার শেষদিনে মঞ্চস্থ হলো এই পালাটি।

সূদূর মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের বিজয়নগর থেকে আনা হয়েছিল নিত্যানন্দ কৃষ্ণলীলা সম্প্রদায়কে। শ্রীকৃষ্ণের চরিত্রে শিল্পী রানী প্রশংসনীয় অভিনয় করেছেন। পদাবলী এই কীর্তনটি (পালা) বিভিন্ন চরিত্রে সেজে-গুজে অভিনয় করে যেন খোদ বৃন্দাবনকেই এখানে ফুটে তোলা হয়েছিল। দুই সহস্রাধিক নারী-পুরুষ ভক্তের আগমনে আখড়াবাড়ি মুখরিত হয়ে উঠেছিল। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এই অনুষ্ঠান চলে।

(বিএম/এলপিবি/সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৫)