লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে শ্বশুরবাড়িতে হামদে রাব্বী (২৮) নামে এক জামাইয়ের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার দু’দিনের মধ্যেই রহস্য উদঘাটন করলেন পুলিশ।

বৃহস্পতিবার বিকালে থানায় ও আদালতে ১৬০ ধারার জবানবন্দিতে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন নিহত রাব্বীর স্ত্রী ও শ্বশুরসহ চারজন। জবানবন্দিতে বলা হয় পরকিয়ার কারনেই রাব্বীকে তার স্ত্রী ডেকে নিয়ে ৪ জন মিলে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়।

থানা সূত্রে জানান যায়, গত মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বামনী ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের শ্বশুরবাড়ির ছোট একটি সুপারিগাছ থেকে রাব্বীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকায় বিষয়টি পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে পুলিশ রাব্বীর স্ত্রী জোসনা আক্তার, শাশুড়ি রেজিয়া বেগম ও শ্বশুর জয়নাল আবদিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এসময় স্ত্রী জোসনা আক্তার প্রতিবেশী আলম নামের এক যুবকের সাথে তার পরকিয়ার কথা স্বীকার করে। ওই দিন সন্ধ্যায় পুলিশ আলমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে রাতে উভয়কে এক সাথে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তার হত্যার করা স্বীকার করে।

জিজ্ঞাসাবাদে আলম পুলিশ ও আদলতে বলেন, বিয়ের পর থেকে রাব্বী তার স্ত্রী জোসনা আক্তারকে অশান্তিতে রাখে। জোসনার বাবা তাদের সংসারে অনেক টাকা দিলেও মেয়ের কোন শান্তি হচ্ছে না। এতে প্রায় এক মাস আগে জোসনার বা তাকে রাব্বীর সংসার থেকে নিয়ে আসে এবং আলমের সাথে বিয়ের কথা বলে। এ কারণেই রাব্বীকে হত্যার জন্য বুধবার রাতে তার স্ত্রী জোসনা আক্তার মোবাইল ফোনে বাড়িতে ডেকে আনে। রাত ১০টার দিকে বিল্ডিং এর ছাদে নিয়ে জোসনা তাকে খবর দেয়। পরে জোসনা, তার মা রেজিয়া বেগম, বাবা জয়নাল আবদিন ও আলম নিজেসহ তার মুখ বেঁধে শরীরের বিভিনস্থানে পিটিয়ে ও পুরুসাঙ্গ চেপে হত্যা করা হয়। ঘটনাটি আত্মহত্যা পরে প্রচার করার জন্যই সহলে মিলে বাড়ীর পাশের একটি সুপারী গাছে তার লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়।

শুক্রবার সকালে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন এ প্রতিবেদকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত ৪ চার জনকে পুলিশ হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে মাধ্যমে সন্ধায় কারাগারে প্রেরণ করে। আর মামলাটির তদন্ত চলছে।

(এমআরএস/এলপিবি/সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৫)