গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলা শহর, শহরতলি ও পৌর এলাকার ডায়ারিয়ার সার্বিক পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।

গত তিনদিনে গাইবান্ধার এসব এলাকায় প্রায় সোয়া ৪শ’ ডায়রিয়া রোগী আক্রান্ত হয়েছে। শনিবার পর্যন্ত আধুনিক হাসপাতলের বিভিন্ন ওয়ার্ড, মেঝে ফ্লরে এ পর্যন্ত প্রায় ৩শ’ ৯৩ জন রোগি ভর্তি হয়েছে এবং জরুরী চিকিৎসা নিয়েছে। হাসপাতালের মেঝেতে জায়গা না পেয়ে হাসপাতাল সংলগ্ন ব্র্যাক স্বাস্থ্য বিভাগের খোলা একটি অস্থায়ী ক্যাম্পেও ১৯ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়ে এখন চিকিৎসা নিচ্ছে।

এদিকে বন্যা ও বৃষ্টির কারণে যে সমস্ত এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে সেসব এলাকাগুলোতেই ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে আকস্মিক এই মহামারি আকারের ডায়রিয়ার কারণ নির্ণয় কল্পে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত টিম বিভিন্ন ডায়রিয়া উপদ্রপ এলাকায় বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছেন। অতি অল্পদিনের মধ্যেই এই ডায়রিয়ার প্রকৃত কারণ নির্ণয় করার সম্ভব হবে বলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সুত্রে জানা গেছে।

আধুনিক হাসপাতালের সঞ্চিত কলেরা স্যালাইন ও জরুরী প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র প্রথম দিনই ডায়রিয়া শুরু হওয়ার প্রারাম্ভেই শেষ হয়ে গেছে। ফলে জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, পৌরসভাসহ বিভিন্ন সংস্থা থেকে প্রদত্ত স্যালাইন, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধপত্রের উপর নির্ভর করেই এখন চিকিৎসা অব্যাহত রয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ জানান, শনিবার ডায়রিয়ার রোগীদের চিকিৎসার সহায়তা হিসেবে এ পর্যন্ত ১ লাখের অধিক টাকা মূল্যের ১ হাজার ৩শ’ কলেরা স্যালাইন, ১ হাজার লিটার বিশুদ্ধ পানি, ৩শ’ ডেটল সাবান বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ব্র্যাক, জেলা পরিষদ ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্যালাইন বিতরণ করেছে বলে জানা গেছে।

সিভিল সার্জন ডাঃ নির্মলেন্দু চৌধুরী জানান, তাৎক্ষনিকভাবে ডায়রিয়ার কারণ অনুসন্ধান করা যায়নি আর সে কারণেই ঢাকার মহাখালী সংক্রামক ব্যধি রোগ নির্ণয় বিভাগ (আইইডিসিআর) এর উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. আল মামুন মাহবুব আলমের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি অনুসন্ধানী টিম শুক্রবার বিকেলে গাইবান্ধায় এসে পৌঁছেছেন। তারা এ পরিস্থিতির কারণ অনুসন্ধান করবেন বলে সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানিয়েছেন।

(আরআই/এলপিবি/সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৫)