তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন মাঠে বন্যার পানি নামতে শুরু হওয়ার সাথে সাথে পানি প্রবাহের প্রধান মুখে সুতিজাল স্থাপন করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে।

এতে বন্যার পানি যে ভাবে নামতে শুরু করেছিল এখন তা বাধাগ্রস্ত হয়ে পরেছে। ফলে বানভাসি মানুষের কষ্ট কষ্টই থেকে যাচ্ছে।

সরেজমিনে পরিদর্শনে জানা গেছে, হাটিকুমরুল বনপাড়া সড়কের মহিষলুটি থেকে ৯নং ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় ১০ থেকে ১৫টি সুতিজাল স্থাপন করে মাছ শিকারের নেমেছে অসাধু মৎস্য শিকারীরা। বিশেষ করে উক্ত সড়কের বড় নদী ৮নং ব্রীজের মুখে ৫/৬টি সুতিজাল পাতা হয়েছে। তাছাড়া ৯নং ব্রীজের নীচে ও ছোট ছোট কালভাটের মুখে সুতিজাল স্থাপন করে মাছ ধরা শুরু করেছে। চলনবিলের বন্যার পানি দ্রুত ওই পথ দিয়ে নিষ্কাষন হত। কিন্তু সুতিজাল স্থাপন করায় পানি নিষ্কাষণের বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।

রবিবার সকালে ৮ ও ৯নং ব্রীজের নীচে অনেক সুতিজাল দিয়ে মাছ ধরতে দেখা গেছে। এলাকার কিছু অসাধু মৎস্য শিকারীরা উক্ত স্থানসমুহে সুতিজাল স্থাপন করে মাছ শিকার করছে। গত কয়েক দিনে চলনবিলে বন্যার পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষ বাড়িঘর থেকে অন্যত্র আশ্রয় নেয়। কেউ বা বাড়িতেই মাচা তৈরী করে থাকতে শুরু করে। গত ২ দিন ধরে তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন মাঠের বন্যার পানি কমতে শুরু করলে চলনবিলের পানি নিষ্কাষণের প্রধান স্থান হাটিকুমরুল বনপাড়া সড়কের ৮ ও ৯নং ব্রীজের নীচে বেশ কয়েকটি সুতিজাল স্থাপন করে মাছ শিকার করছে এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। সুতিজাল স্থাপন করায় বন্যার পানি বাধাগ্রস্ত হয়ে নিষ্কাষণে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। তাছাড়া উক্ত সড়কের ছোট ছোট কালভাটের নীচেও সুতিজাল স্থাপন করা হয়েছে। ফলে বন্যার পানি যে ভাবে নেমে যাওয়ার কথা বর্তমানে সে ভাবে নামতে পারছেনা। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরা দ্রুত সুতিজাল উচ্ছেদ করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বানভাসি মানুষ জানান, সুতি জাল অপসারন না করা হলে বন্যার পানি নামতে বিলম্ববিত হবে। এতে আমাদের কষ্ট আরও বৃদ্ধি পাবে। তাই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ দ্রুত সুতিজাল উচ্ছেদের জন্য জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।

(এমএমএইচ/এলপিবি/সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৫)