নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর রানীনগরে রত্না রানী নামে এক হিন্দু গৃহবধূকে অপহরণের পর ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করার অপরাধে শ্যালককে মারধর করে অপহরণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নওগাঁ জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম রতনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার নিজ বাড়ি জেলার রানীনগর উপজেলার বড়গাছা ইউনিয়নের কচুয়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ওই গ্রামের তৌফিকুল ইসলামের ছেলে। এই রতন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এলাকা পরিচালক থাকা কালে বিগত ২০০০ সালের ৪ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সচীব অনিয়ম আর দুর্নীতির দায়ে তাকে ওই পদ থেকে বহিস্কার করা হয়।
এব্যাপারে রানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল্লাহ আল মাসউদ চৌধরী জানান, জেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম রতনের শ্যালক আব্দুল খালেক কিছুদিন আগে জনৈক সংখ্যালঘু নারায়নের স্ত্রী রত্না রানীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এব্যাপারে থানায় মামলা হলে রত্নাকে ধর্মান্তরিত করে খাদিজা আখতার নাম রেখে খালেক তাকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করে। সম্প্রতি তারা আদালতে সারেন্ডার দিয়ে জামিনে আসে। এদিকে খালেকের ভগ্নিপতি তৈৗহিদুল ইসলাম রতনসহ তার অভিভাবকরা হিন্দু মেয়েকে নিয়ে সংসার করা যাবেনা এবং তার ওপর ১ম স্ত্রী বর্তমান থাকায় ওই হিন্দু মেয়েকে কৌশলে তাড়িয়ে দিতে খালেককে বেদম মারপিট করে তাকে বেশ কয়েক দিন ধরে অজ্ঞাতস্থানে লুকিয়ে রাখে। এদিকে কয়েকদিন ধরে পরকীয়ার স্বামী খালেক নিখোঁজ থাকায় তার ২য় নব-মুসলিম স্ত্রী খাদিজা আক্তার বাদী হয়ে শুক্রবার দিনগত রাতে রানীনগর থানায় রতনসহ ৩জনকে আসামী করে একটি অপহারণ মামলা দায়ের করে। শনিবার দুপুর ১টার দিকে তাকে নওগাঁ আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি করে।
(বিএম/এএস/মে ২৪, ২০১৪)