কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: সৌদি আরবে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আল মামুন সুমনের কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে গ্রামের বাড়িতে এখন চলছে কান্নার রোল।

প্রতিবেশিদের দেওয়া সান্ত্বনা তাদের কান্না থামাতে পারছে না। মা, বাবা, ভাই, বোনসহ পরিবারের সদস্যরা মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় হতবাক ও দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। সান্ত্বনা দিতে এসে প্রতিবেশিরাও চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না।

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার ধনকুড়া গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমনের দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সুমন ছিল সবার ছোট। এসএসসি পাশ করে কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সংসারের অভাব মেটাতে সৌদি আরব যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ব্র্যাক অভিবাসন প্রকল্প থেকে তিন লক্ষ টাকা ঋণ ও জমিজমা বিক্রি করে মোট নয় লক্ষ টাকা খরচ করে গত মাসের ৯ তারিখ পাড়ি জমান সৌদি আরবে। সৌদি আরবের দাম্মামে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকুরি নেন তিনি। প্রায় এক মাস হলো চাকুরি জীবনে কোন টাকা পয়সা পাঠাতে পারেননি বাড়িতে।

রবিবার সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি নিহত হন। সুমনের এক সহকর্মীর মাধ্যমে মৃত্যু সংবাদটি পেয়ে পরিবারের সদস্যরা একেবারেই ভেঙে পড়েছেন।

তাদের দাবি যে কোন মূল্যে তার মরদেহটি যেন ফিরিয়ে আনা হয়। আর ব্র্যাক প্রকল্পের ঋণ যেন মওকুফ করা হয়।

(পিকেএস/এলপিবি/সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৫)