শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুর সদর উপজেলার শৌলপাড়া মনোয়ার খান উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী আখি আক্তারকে (১৬) পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে তারই সহপাঠী শিশির মৃধা। গতকাল রবিবার বিকেলে শৌলপাড়া বাজারের পার্শ্বে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহত স্কুল ছাত্রী আখিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আখি আক্তার শৌলপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব সারেঙ্গা গ্রামের হারুন তালুকদারের মেয়ে এবং বখাটে শিশির মৃধা পার্শ্ববর্তী গ্রাম চিকন্দী গ্রামের সোহরাব মৃধার ছেলে। এ বিষয়ে পালং থানায় মামলা হয়েছে।

আখি ও তার সহপাঠী এবং এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, রোববার বিকালে আখি আক্তার তার সহপাঠীদের সাথে তাদের স্কুল শিক্ষক কামাল হোসেনের বাড়িতে অংক বুঝে নিতে যাওয়ার পথে শিশির মৃধা তাদের উত্ত্যক্ত করে। আখি উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করলে শিশির মৃধা একটি বাঁশের লাঠি নিয়ে তেড়ে গিয়ে আখিকে এলোপাথারি পিটাতে থাকে। আখি ডাক-চিৎকার করলে আখির সহপাঠীরা আখিকে উদ্ধার করে। পরে আখির পরিবারের কাছে খবর দিলে আত্মীয়-স্বজনরা এসে আখিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ বিষয়ে আখির বাবা হারুন তালুকদার বাদী হয়ে পালং মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোতালেব হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘আমার স্কুলের মধ্যে ঘটনাটি ঘটেনি। ওদের মধ্যে কি হয়েছে বলতে পারবো না। শুনেছি শিশির আখিকে মারধর করেছে। আমি হাসপাতালে গিয়ে আখিকে দেখে এসেছি। অপরাধি শিশিরের ব্যাপারে স্কুলের শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সদস্যরা মিলে সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন।

পালং থানার এস আই এমারত হোসেন বলেন, ‘মনোয়ার খান উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী আখি আক্তার তার সহপাঠীদের সাথে তারই স্কুল শিক্ষকের বাড়িতে যাওয়ার সময় সহপাঠী শিশির মৃধা তাকে উত্ত্যক্ত করে। আখি এর প্রতিবাদ করলে শিশির আখিকে মারধর করে শারীরিক লাঞ্ছিত করে। এ বিষয়ে আখির বাবা বাদী হয়ে শিশিরকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছে। আসামীকে ধরার জন্য চেষ্টা চলছে।’

(কেএনআই/এএস/সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৫)