মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এম শাহীনকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।

সোমবার রাজনৈতিক একটি মামলায় জামিন চাইলে মৌলভীবাজার ৩নং আমল আদালতের বিচারক জিহাদুর রহমান জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সূত্র জানায়, গত ৫ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় বিএনপি-ঘোষিত ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে কুলাউড়ায় এম এম শাহীনের নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ বিশাল কালো পতাকা মিছিল বের করে বিএনপি। পুলিশ হঠাৎ করে শান্তিপূর্ণ কালো পতাকা মিছিলের ওপর টিয়ার শেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় এম এম শাহীনসহ বিএনপির ১০-১২ জন নেতা-কর্মী আহত হন।

এ ঘটনায় কুলাউড়া থানার এসআই জি এম আসলামুজ্জামান বাদী হয়ে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ১৭৯ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে একটি পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা রুজু করে। মামলার এজাহারে এম এম শাহীনের নাম ছিল না। কিন্তু ঘটনার ৬ মাস পর আকস্মিকভাবে পুলিশ কুলাউড়ার জনপ্রিয় সাবেক এমপি ও বিএনপির নেতা এম এম শাহীনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে ৪৪ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে গত ৩০ জুন মামলার চূড়ান্ত চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফরিদ। মামলার চার্জশিটে এম এম শাহীনসহ বিএনপির কুলাউড়া উপজেলা শাখার সিনিয়র সহসভাপতি জয়নাল আবেদিন বাচ্চু, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সজল, যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ তফজ্জুল হোসেন তফই, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ময়েজ উদ্দিন আকলসহ মোট ৪৪ জনকে আসামি করা হয়।

ওই মামলায় সোমবার মৌলভীবাজার ৩নং আমল আদালতের বিচারক জিহাদুর রহমানের কাছে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এম এম শাহীনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বদরুল হোসেন ইকবাল জানান, এজাহারে এম এম শাহীনের নাম ছিল না। তার পরও রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার উদ্দেশ্যেই ওই মামলায় তাকে আসামি করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি কুলাউড়ায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ কালো পতাকা মিছিলে পুলিশ হামলা করে। পরে ৪৪ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে (পুলিশ অ্যাসল্ট) মামলা করা হয়। ওই মামলায় অন্য সব আসামি আদালত থেকে জামিন পেলেও আজ সোমবার আদালতে হাজিরা দিতে গেলে আদালত এম এম শাহীনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।

(এমআরএমএইচ/এলপিবি/সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৫)