পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের দফায় দফায় হামলা, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে শেরে-ই-বাংলা হল ও এম. কেরামত আলী হলের অন্তত ৩০টিরও বেশি কক্ষ ভাংচুর করা হয়।

এ সময় ধাওয়া,পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক ও ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ অন্তত ২০জন আহত হয়েছে। রবিবার রাত থেকে সোমবার বেলা ১২ টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুস্টি বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষক সুজন কান্তি মালি এবং কৃষি উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রেশাদ মল্লিক। এ ছাড়া আহত ছাত্ররা হচ্ছেন সাজিন, তানিম, ফাহিম, মুনাম, ইমন ও অভি, বাকীদের নাম ও পরিচয় জানাযায়নি। তবে আহতদের মধ্যে গুরুত্বর অবস্থায় তানিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার বিকেলে বরিশাল থেকে ক্যাম্পাসগামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে সামনের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে অষ্টম সেমিষ্টারের ছাত্র উজ্জল ও কামরুলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে উভয় গ্রুপের উত্তেজনা দেখা দেয়। রাত সোয়া ১২টার দিকে ছাত্রলীগ সভাপতি আনিসুজ্জামান আনিসের নেতৃত্বে উত্তেজিত বরিশাল গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মীরা হকিস্টিক, রামদা, লোহার রড, নিয়ে পটুয়াখালী বেল্টের সাধারণ সম্পাদক রায়হান আহমেদ রিমন গ্রুপের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। রিমন গ্রুপের কর্মীরা পাল্টা হামলা চালালে দু’গ্রপে মধ্যে রাত ভর দফায় দফায় হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সহিংসতা চলাকালে শেরে-ই-বাংলা হল ও এম. কেরামত আলী হলের অন্তত ৩০টির বেশী কক্ষ ভাংচুর করা হয়। খবর পেয়ে দুমকি থানা পুলিশ ও পটুয়াখালী থেকে আরো ১ প্লাটুন দাঙ্গা পুলিশ রাত দেড়টায় ক্যাম্পাসে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ক্যাম্পাসের প্রধান গেটগুলো তালাবদ্ধ করে ক্যাম্পাসের সবক’টি হলে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে সোমবার সকালে আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠে পবিপ্রবি ক্যম্পাস। একই ঘটনার জেরে সকাল ৭টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে বিক্ষপ্ত হামলা-ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে দুপুরের পর পুলিশী তৎপরতার কারনে ক্যাম্পাসের পরিবেশ স্বাভাবিক হতে শুরু করে।

এ বিষয়ে দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ আজম খান ফারুকী জানান, যে কোন অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

(এসডি/এএস/সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৫)