পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব পরিষদে না আসার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে এ ইউনিয়নের জনসাধারণ।

তারা তাদের কাঙ্খিত সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ইউনিয়নের সাবেক সচিব অবসরে যাওয়ার পরে পটুয়াখালী সদরের খান মেজবাহ উদ্দিন চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল এখানে যোগদান করেন। তিনি যোগদানের পরে পরিষদে না এসে পটুয়াখালীর বাসায় বসে পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ কাগপত্র বাসায় নিয়ে কাজ করে থাকেন বলেন ইউপি চেয়ারম্যান জানান।

সূত্রে জানা যায়, ইউপি চেয়ারম্যানসহ সরকারের অন্যান্য দপ্তরের সাথে গ্রামের সাধারণ মানুষের প্রয়োজনীয় কর্মকান্ড সহজলভ্য করার লক্ষে কাজ করলেও তা জনগণের কাজে আসছেনা এবং ইউপি সচিব ভবনটি যথাযথভাবে ব্যবহার করছেনা বলে স্থানীয়রা জানান। ফলে গ্রাম আদালতের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ। সরকারের পরিকল্পনা মোতাবেক স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করাসহ গ্রামের সাধারন মানুষকে সার্বিক সেবা প্রদানের লক্ষে লাখ লাখ টাকা ব্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদ দোতালা ভবন নির্মাণ করে দেয়া হয়। কিন্তু মির্জাগঞ্জ উপজেলার ২নং মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি তালাবদ্ধ থাকে। ফলে গ্রামের সাধারন মানুষ ইউনিয়ন পরিষদ ভবন থেকে কোন সেবা পাচ্ছেনা এবং গ্রামের সাধারণ মানুষের সেবা প্রদানের জন্য সরকারের নেয়া নানা সেবা থেকে বঞ্চিত। এর ফলে এলাকার মানুষ সরকার প্রদত্ত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এতে অর্থনৈতিক ভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন গ্রামের সাধারণ মানুষ। ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি যথাযথভাবে ব্যবহার না করার ফলে ভবনটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় রয়েছে এবং ভবনের মালামাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মাজেদ গোলদার বলেন, ইউপি সচিব ঠিকমতো অফিসে আসে না। বিধায় পরিষদের কাজ করতে নানা সমস্যায় পড়তে হয়। তবে এ ব্যাপারে জেলায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

ইউপি সচিব খান মেজবাহ উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন,পরিষদের কিছু কাগজপত্র নিয়ে আমি পটুয়াখালীর বাসায় বসে তালিকা তৈরী করছি। আজ পরিষদে যাইনি।

(এসডি/এলপিবি/সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৫)