সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সিটি কলেজে ১৮জন শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। গত সোমবার কলেজের ১৪জন শিক্ষকের দায়েরকৃত রিট পিটিশনের শুনানী শেষে  মহামান্য হাইকোর্টের বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও মোস্তফা জামান ইসলামের মন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ  এ আদেশ দেন।

মামলায় যাদেরকে বাদি শ্রেণিভূক্ত হিসেবে দেখানো হয়েছে তারা হলেন, বিধান চন্দ্র দাস,চম্পা রানী হাজরা, সাঈদা সুলতানা, সাইফুল ইসলাম, মশিয়ার রহমান, রুহুল আমিন, কামরুন নাহার, রমেশ চন্দ্র হালদার, আশরাফুল হক, আবুল বাসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, আশরাফুন নাহার, অরুণ কুমার সরকার, মোঃ মনিরুল ইসলাম ও সুরাইয়া জাহান দীপা।

বিবাদীরা হলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারী, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক, সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, সিটি কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও সিটি কলেজের অধ্যক্ষ।

মামলার বিবরণে জানা যায়, বাদি শ্রেণিভুক্ত সিটি কলেজের ১৪ জন শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু আহম্মেদ দায়িত্বে থাকাকালিন নিয়োগ পাওয়ার পর কলেজ থেকে নিয়মিত বেতন পেয়ে আসছেন। তারা এমপিও প্রক্রিয়ার মধ্যে সম্পৃক্ত রয়েছেন। অধ্যক্ষ এমদাদুল হককে সরিয়ে আবু আহম্মেদ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণ করায় এমদাদুল হক দেওয়ানী আদালতে টিএস-৪৯/২০১০ মামলা দায়ের করেন। যা’ আজো বিচারাধীন রয়েছে।

বর্তমানে আবু সাঈদ অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এমতাবস্থায় যথাযথ নিয়ম না মেনে অসৎ উদ্দেশ্যে বাদিপক্ষভুক্ত শিক্ষকদের হয়রানির জন্য গত ৩ আগষ্ট দৈনিক সমকাল পত্রিকায় সাতক্ষীরা সিটি কলেজের বিভিন্ন বিভাগে ১৮জন প্রভাষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।

গত ৭ সেপ্টেম্বর ২০নং ডিভিশন বেঞ্চের বিচারকদ্বয় রিট পিটিশনকারিদের আবেদন শুনানী শেষে গত ৩ আগষ্টের সমকাল পত্রিকার ওই শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির উপর ছয় মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, ১৮জনের মধ্যে তিনটি শূণ্যপদ রয়েছে। এরমধ্যে সৃষ্টপদে হিসাব বিজ্ঞানে নিয়োগপ্রাপ্ত বিধান চন্দ্র দাস ও ব্যবস্থাপনা বিভাগে নিয়োগপ্রাপ্ত চম্পা রানী হাজরা নিয়ম অনুযায়ি তালিকার শীর্ষে রয়েছেন। সেক্ষেত্রে তারাই ওই দু’টি শূন্যপদে এমপিও ভুক্তির প্রথম ও প্রধান দাবিদার। অন্যরা পর্যায়ক্রমে তাদের নিজ নিজ বিভাগে এমপিও ভক্তির অপেক্ষায় রয়েছেন।

(এমআর/এসসি/সেপ্টেম্বর১৫,২০১৫)