মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরার মহম্মদপুরের ডাঙ্গাপাড়া বাজারে বুধবার দুপুরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়েছেন। অসংখ্য দোকাপাটে ভাংচুর, লুটের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে কয়েকটি দোকান। 

আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত ৩০ জনকে মহম্মদপুর ও নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ৬৫ রাউন্ড সর্টগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভারিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার সকালে উপজেলার মন্ডলগাতী গ্রামের লুলু শিকদারের ছেলে ও বনগ্রাম কিমস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র রহমান এবং রোনগর গ্রামের সিদ্দিক মোল্যার ছেলে ও একই বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র জামালের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে এদিন বিকাল থেকেই মন্ডলগাতী ও রোনগর গ্রামের মানুষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় মাতুব্বরদের উদ্যোগে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে মীমাংশার জন্য বুধবার দুপুরে বনগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে সালিশি বৈঠক বসে।

সালিশি বৈঠকে সুরাহা না হওয়ায় মন্ডলগাতী গ্রামের আবদুর রহমান ও রোনগর গ্রামের নুরুজ্জামান গ্রুপের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর কবির, খয়বার, আলাউদ্দিন, দুখু, সলেমান, জামিরুল, মহম্মদ, জুনাব আলী, সোহাগ, আলাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে অগ্নিদ্বগ্ধ জুনাব আলী ও সোহাগকে মাগুরা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। অপর গ্রুপের আহতদেরকে নড়াইলের লোহগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

হামলা চলাকালে রফিক, শফিক, সাব্বির, বাকা, বাচ্চু, গণি, বাশার, সলেমান, বাবলু, তাহের দাউদের মুদি দোকান, রজবের সাইকেল পার্টস, রেজা, রমেশের ফার্নিচার, নাজিবুল, নুরু, ইদ্রিস, স্বপন খাঁনের পাট গুদাম, বাবুর ডেকোরেটর, জিয়ার ভাংড়ির দোকান, সুলতানের ইলেকটট্রনিক্সের দোকান, আকরাম, ফরিদ, জাহাঙ্গীর ও বাশারের চা দোকান, কানাইলালের সেলুন, আমিনুর, জাহিদ, আফসারের ওষুধের দোকান, মিল্টনের কাপড়ের দোকান, নুরালম ও ভানু লালের মিষ্টির দোকান এবং শােিমমের কম্পিউটারের দোকানে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়। আমিনুর, আকরাম, ফরিদ, জাহাঙ্গীর, কানাইলাল ও বাশারের দোকান পুড়িয়ে দেয়া হয়। তান্ডবে অন্তত: ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

দুই পক্ষের হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন অর্ধশত ব্যক্তি। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত কবির, খয়বার, আলাউদ্দিন, দুখু, সলেমান, জামিরুল, মহম্মদ, জুনাব আলী, সোহাগ, আলাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে অগ্নিদ্বগ্ধ জুনাব আলী ও সোহাগকে মাগুরা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। অপর গ্রুপের আহতদেরকে নড়াইলের লোহগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার পর থেকে এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

মহম্মদপুর থানার ওসি শেখ আতিয়ার রহমান জানান, পরিস্থিতি এখন শান্ত। মামলা হলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

(ডিসি/এএস/সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৫)