স্টাফ রিপোর্টার : দেশের মেধাবী তরুণদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে ২০৪১ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে ৩৪ হাজার তরুণ-তরুণীকে আবাসিক সুবিধাসহ তিন থেকে ছয় মাসের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আশা করা যায় দেশের প্রতিটি স্তরে আইটি সেক্টরে বাংলাদেশের তরুণেরাই নেতৃত্ব দেবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেলে লেকশোরে আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিএলসির উদ্দ্যোগে আইসিটি খাতে আর্থিক সুবিধাসহ বিভিন্ন সুবিধা দিতে নতুন একটি প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আগামীতে ‘ডিজিটাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল এজেন্সি’ তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। ওই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আমাদের তরুণেরা দেশি-বিদেশি আইটি ফার্মে সরাসরি কাজ করার সুযোগ পাবে। এ ছাড়া সরকারি-বেসকারি, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে সম্মিলিতভাবে দেশে একটি ইকো সিস্টেম ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা করছি।

বর্তমানে আইসিটি খাত থেকে ৩শ মিলিয়ন ডলার আয় হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের তরুণদের কাজে লাগাতে ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং’ ব্যবস্থাও চালু করা হয়েছে। বর্তমানে দেশে শ্রমভিত্তিক অর্থনীতি রয়েছে। শ্রমভিত্তিক অর্থনীতির পাশাপাশি মেধাভিত্তিক ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার।

আইসিটি সেক্টর এক সময় বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হবে মন্তব্য করে পলক বলেন, এ লক্ষ্যে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ২শ ৩২ একর জমির উপর হাইটেক পার্ক নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে অগ্রসর হচ্ছে। ইতোমধ্যে তিনটি ব্লকের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

আইসিটি খাতে আর্থিক সুবিধা চালু করায় আইডিএলসি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এ খাতটি অনেক সম্ভাবনায়। কিন্তু এ খাতে বিনিযোগ করতে ব্যাংকগুলোকে অনেক বোঝাতে হচ্ছে। তবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সেটির আর প্রয়োজন হবে না।

অনুষ্ঠানে আইডিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, আইসিটি উদ্যোক্তারা শুধু প্রচলিত ধারার আর্থিক সেবাই দেবে না, বরং অন্য সেবাও দেবে, যা তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি শামীম আহসানসহ অনেকে।

(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৫)