নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের অপহৃত ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি হেলাল উদ্দিন (৩৫) ও থাই মিস্ত্রি মাসুদ পারভেজ (৩৭)কে ১৮ ঘন্টা পর পাবনার চাটমোহর থেকে উদ্ধার করা হয়। বিদ্যুৎ মিস্ত্রি ও থাই মিস্ত্রিকে বুধবার বেলা ১১টার দিকে কাজ করার নামে মোবাইল ফোনে বড়াইগ্রামের রাজাপুর এলাকায় ডেকে নিয়ে অপহরণ করে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে পাবনার চাটমোহর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, বুধবার বেলা ১১ টার দিকে জনৈক ব্যক্তি কাজের জন্য মোবাইল ফোনে নাটোর সদর উপজেলার জাঠিয়ান ভবানীপুর এলাকার প্রাণ মোহম্মদ প্রামানিকের ছেলে থাই মিস্ত্রি মাসুদ পারভেজ ও শহরের মিরপাড়া এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি হেলাল উদ্দিনকে ডেকে নেয়।

তাদের দু’জনকে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার রাজাপুর বাজারে যেতে বলা হয়। মাসুদ পারভেজ ও হেলাল একটি মোটর সাইকেলে করে রাজাপুর বাজারে গেলে ৫ ব্যাক্তি তাদের সঙ্গে দেখা করে। পরে ওই দু’জনকে অন্য একটি মোটর সাইকেলে করে পাবনার চাটমোহর এলাকায় নিয়ে গিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এসময় তাদের দু’জনকে একটি পুকুরের ধারে জঙ্গলের মধ্যে বেঁধে রাখা হয়। পরে দফা রফা করে মুক্তিপণের টাকা কমিয়ে এক লাখ টাকায় নেমে আসে।

পরিবারের লোকজনের সাথে যোগাযোগ করে দু’জনের বাড়ি থেকে বিকাশের মাধ্যমে দেওয়া ৬০ হাজার টাকা এবং দু’জনের কাছে থাকা ৪০ হাজার টাকা দেওয়ার পর তাদের ছেড়ে দেয়। রাত ৩ টার দিকে তাদের ছেড়ে দিলে পথ ভুলে তারা একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয় এবং মোবাইল ফোনে বিষয়টি বাড়ির লোকজনদের জানায়।

ঘটনাটি পুলিশকে জানালে নাটোর থানার পুলিশ চাটমোহর থানা পুলিশের সহায়তায় মথুরাপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার ভোর ৫ টার দিকে অপহৃত দুইজনকে উদ্ধার সহ অপহরণকারী দলের চার সদস্যকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো চাটমোহর উপজেলার মাঝগ্রামের হাসান আলীর ছেলে হাসিনুর রহমান (২৭), একই গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে আব্দুর রহিম (৩৫), রতনপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের চেলে মুকুল হোসেন (২৮) ও মথুরাপুর গ্রামের শাজাহান শেখের ছেলে আব্দুল আলিম।

নাটোর সদর থানার এ্সআই প্রশান্ত চন্দ্র প্রামানিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,৬ সদস্যের অপহরণ চক্রের ৪ জনকে আটক করা হয়। অপর দু’জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

এ ব্যাপারে আটক ৪ জনসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

(এমআর/এএস/সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৫)