শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় গভীর রাতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

এতে একটি ঘরের আসবাবপত্র ও বেড়া উড়ে গেছে । এ ঘটনায় সুমি নামের ১ জন মারাত্মক আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে নড়িয়া থানা পুলিশ ১৯টি ককটেল বোমা উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় নড়িয়া থানায় মামলার প্রস্ততি চলছে।

নড়িয়া থানা ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের পুনাই খার কান্দি গ্রামের মৃত ছাত্তার খানের ঘরের পাটাতনের নিচে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ বোমার বিষ্ফোরণ ঘটে। বোমা বিস্ফোরিত হলে ওই ঘরে থাকা আসবাবপত্র তছনছ হয়ে যায় এবং ঘরের পাটাতন ও বেড়া উড়ে যায়। এ সময় ঘরে ঘুমন্ত মৃত ছাত্তার খানের মেয়ে সুমি (১৭) মারাত্মক আহত হয় বলে জানায় স্থানীয়রা। নড়িয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বোমার আলামত ও ১৯টি তাজা ককটেল বোমা উদ্ধার করেছে। ঘটনার পর মৃত ছাত্তার খানের স্ত্রী হাসিনা বেগম ও তার মেয়ে পলাতক রয়েছে।

শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এহসান শাহ, সহকারী পুলিশ সুপার তানভির হায়দার ও নড়িয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদশর্ন করেছে। এ ঘটনায় নড়িয়া থানায় বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ছাত্তার খানের মা শুভতারা বেগম বলেন, গভীর রাতে হঠাৎ আমার ছেলের ঘরে বোমা ফাটার শব্দ পেয়ে আমরা ঘুম থেকে উঠি। এরপর আর আমাদেরকে ঘরের কাছেও যেতে দেয়নি। বালতি ভরতি এত বোমা আমাদের বাড়িতে কোথা থেকে আসলো তা আমাদের জানা নেই।

শরীয়তপুরের সহকারী পুলিশ সুপার তানভির হায়দার বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সকল আলামত জব্দ করেছি। ঘটনাস্থল থেকে আরো ১৯টি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় মামলা করবে।

তিনি আরো বলেন, রাজনগন এলাকায় বিবাদমান দুইটি গ্রুপের মধ্যে গ্রাম্য কোন্দল রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে কোন পক্ষ অপর পক্ষকে আক্রমণ করার জন্য বোমাগুলো মজুদ করেছিল।

(কেএনআই/এলপিবি/সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৫)