সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় নিবন্ধনহীন ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসার কারণে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।

বৃহষ্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার একতা ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটার পর আত্মীয় স্বজনদের বিক্ষোভের মুখে পালিয়ে গেছেন ক্লিনিক মালিক হরিদাস মন্ডল, ডা. দেবদুলাল সরকার ও ডা. সুদীপ্ত দেবনাথ।

পুলিশ হাসপাতালের তিন কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সিলগালা করে দিয়েছে ক্লিনিকটি।

রোগীর আত্মীয় স্বজনরা জানান, সদর উপজেলার রেউই গ্রামের সন্তানসম্ভবা গৃহবধূ সুমনা খাতুনকে গত মঙ্গলবার বিকেলে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে তার সন্তান না হওয়ায় তারা হতাশ হয়ে পড়েন।

সুমনার ভাই হোসেন আলি ও মামা মনিরুল ইসলাম জানান ‘সাপ্তাহিক দুদিন ছুটি ও সামনে ঈদের সময় ডাক্তার পাওয়া যাবে না বলে জানান, হাসপাতালের সেবিকারা। সাতক্ষীরা সরকারি হাসপাতালে থাকলে চিকিৎসা মিলবে না সেবিকাদের এই পরামর্শ অনুযায়ী তাকে একতা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। বৃহষ্পতিবার দুপুরে তাকে ২০ হাজার টাকা চুক্তিতে ওই ক্লিনিকে আনা হয়। রাতেই তার অপারেশন করা হয়। এ সময় সুমনা একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিলেও মারা যান তিনি। এরপরই ডাক্তার ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ পালিয়ে যান।

এদিকে এই মৃত্যুর জন্য ডাক্তারদের দায়ী করে গৃহবধূর আত্মীয় স্বজন বিক্ষোভ ও ক্লিনিক ভাংচুর শুরু করেন।

খবর পেয়ে পুলিশ ক্লিনিক কর্মচারী আরাফাত হোসেন, কৃষ্ণপদ মন্ডল ও আয়া শিরিনা খাতুনকে গ্রেফতার করে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের মাধ্যমে শুক্রবার সকালে একতা ক্লিনিক সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক শেখ জানান, এ ঘটনায় নিহত গৃহবধুর ভাই হোসাইন আলী বাদি হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ করে শুক্রবার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতারকৃত তিনজনকে শুক্রবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

(আরকে/এলপিবি/সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৫)