১৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১
মুক্তিবাহিনী দিনাজপুরে পাকসেনাদের ওপর আক্রমণ চালায়
উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : ২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল মালোচিন বাজারে অবস্থানরত পাকপুলিশের একটি দলকে আক্রমণ করে। এই আক্রমণে ১৯ জন পাকপুলিশ নিহত ও ৩ জন আহত হয়।
লক্ষ্মীপুরে মুক্তিবাহিনী পাকসেনা অবস্থানের ওপর রকেট লাঞ্চারের সাহায্যে তীব্র আক্রমণ চালায়। এতে পাকসেনাদের দু’টি বাঙ্কার ধ্বংস হয় এবং দু’জন পাকসেনা নিহত ও একজন আহত হয়।
কমিল্লায় লেঃ ইমামুজ্জামানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদল পাকবাহিনী বাডিসা ও গোবিন্দমানিক্যর দীঘি অবস্থানের ওপর একযোগে আক্রমণ চালায়। গোবিন্দমানিক্যর দীঘি অবস্থানে দু’টি বাঙ্কার ধ্বংস ও ৬ জন পাকসেনা নিহত হয়। মুক্তিবাহিনী বাডিসাঘাঁটি আক্রমণ সম্পূর্ণ সফল হয়। বাডিসায় ২০ জন পাকসৈন্য নিহত ও ১২ জন আহত হয়। দু’ঘন্টা যুদ্ধের পর মুক্তিবাহিনী নিরাপদে নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরে আসে।
৮নং সেক্টরের গোজাডাঙ্গা সাব-সেক্টরে মুক্তিবাহিনী পাকসেনাদের মোহাম্মদপুর অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর একজন মেজরসহ ৬ জন সৈন্য নিহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা কোন ক্ষতি ছাড়াই নিরাপদে নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরে আসে।
মুক্তিবাহিনী দিনাজপুরের অমরখানা এলাকায় অবস্থানরত পাকসেনাদের ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে ৮ জন পাকসৈন্য নিহত হয় ও কয়েকজন আহত হয়।
বিবিসি প্রচারিত সংবাদ :
জাতিসংঘ মহাসচিব উ’থান্ট ভারত উপমহাদেশের অবস্থা নিয়ে সতর্ক বাণী উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক মীমাংসা ব্যতিত পূর্ব পাকিস্তানের মৌলিক সমস্যা সমাধান হবে না। তিনি বিশ্ববাসীর কাছে সাহায্য প্রদানের আহ্বান জানান।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আসন্ন অধিবেশনে যোগদানের জন্য পাকিস্তানি প্রতিনিধিদলের নিউইয়র্ক যাত্রার প্রাক্কালে দলনেতা পিডিপি-র মাহমুদ আলী করাচীতে বলেন, সেনাবাহিনী পূর্ব পাকিস্তানের গণহত্যা চালিয়েছে বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কেননা প্রদেশের সেনাবাহিনীর তৎপরতা এমন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি করেনি, যার জন্য ‘গণহত্যা’ শব্দটি ব্যবহৃত হতে পারে।
পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেন : ১৯৭১ সালের ২৫ নভেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের ৭৮ টি শূন্য আসনে এবং প্রাদেশিক পরিষদের ১০৫ টি শূন্য আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৫)