কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: দেশ ব্যাপী খ্যাত মঙ্গলবাড়িয়ার লিচু বাজারে আসতে শুরু করেছে। পাইকাররা এখান থেকে লিচু কিনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় রপ্তানি করছে। মঙ্গলবাড়িয়া কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার সদর থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে এই গ্রাম অবস্থিত।

মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের সুস্বাদু ও উন্নত জাতের লিচুর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আগাম জাতের প্রতিটি লিচু রসে টই-টুম্বর। গন্ধও অতুলনীয়। মঙ্গলবাড়িয়া লিচু চাষিদের ভাগ্যের পরিবর্তন দেখে পার্শ্ববর্তী কুমারপুর, হোসেন্দী, নারান্দী, তারাকান্দি, জাঙ্গালিয়া, সুখিয়া, চন্ডিপাশা গ্রামের মানুষ লিচু চাষ শুরু করেন। লিচু চাষ করে তাদের অনেকেই এখন সচ্ছলতার মুখ দেখছেন।

মঙ্গলবাড়িয়ার সুস্বাদু লিচুর উৎপত্তি সম্পর্কে প্রবীণদের মুখে শুনা যায়, মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের হাসিম মুন্সি নামের এক স্কুল শিক্ষক বহু বছর আগে ভারতীয় একটি গোলাপি জাতের লিচুর চারা এনে বাড়ির সামনে রোপণ করেছিলেন।

৫-৬ বছর পর চারা গাছে লিচুর ফলন হয়। তার গাছের লিচু অত্যন্ত সুস্বাদু হওয়ায় উক্ত গ্রামের কৃষক বশির উদ্দিন এই গাছের কলম চারা তৈরি করে লিচুর চাষ শুরু করেন। পর্যায়ক্রমে সম্প্রসারিত হতে থাকে এই লিচুর চাষ। বর্তমানে মঙ্গলবাড়িয়া, কুমারপুর, হোসেন্দী, নারান্দী, তারাকান্দি, জাঙ্গালিয়া, সুখিয়া ও চন্ডিপাশা গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতেই লিচুর বাগান রয়েছে। পাইকাররা এখান থেকে লিচু কিনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় রপ্তানি করে থাকে।

এছাড়াও বিদেশে থাকা বাংলাদেশী প্রবাসীরা তাদের আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে মঙ্গলবাড়িয়া থেকে লিচু নিয়ে থাকে। লিচুর ব্যাপক চাহিদা দেখে মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের কৃষকরা নতুন নতুন লিচুর বাগান গড়ে তুলছে। বর্তমানে মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের একশত লিচুর দাম ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।

(পিকেএস/জেএ/মে ২৫, ২০১৪)