কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি :বৃদ্ধা সুফিয়া বেগম (৬০) ও তার মেয়ে ময়না বেগমের (৩৫) মাথা, হাত, পা, পিঠ, চোখসহ শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে সর্বত্রই কালচে দাগ। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। সোজা হয়ে দাড়াতেও পারছে না তারা।

ময়না বেগমের ১৩ বছরের কিশোরী কন্যাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হয়ে মা ও মেয়ের উপর প্রকাশ্য দিবালোকে এ বর্বর নির্যাতন চালানো হয়। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার চম্পাপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের লোকমান ফকির, কামাল ফকির,দেলোয়ার ফকিরসহ ৫/৭ দূবৃত্ত ছাগলে আমন চারা খেয়েছে এ অভিযোগ তুলে তাদের উপর এ নির্যাতন চালায়। এ ঘটনায় গতকাল কলাপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

বিলম্বে প্রাপ্ত খবর ও থানা সূত্রে জানা যায়, বৃদ্ধা সুফিয়া বেগমের মেয়ে ও নাতনীকে বিভিন্ন সময়ে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে উপরোক্তরা। কিন্তু তাদের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর সকালে ছাগলে আমন চারা খেয়েছে এই অভিযোগ তুলে বাড়ির সামনে ফেলে নির্দয়ভাবে নির্যাতন শুরু করে মা ও মেয়েকে। নির্যাতনে বৃদ্ধা সুফিয়া জ্ঞান হারিয়ে ফেললেও তাদের উপর নির্যাতন থামেনি। ঘন্টাব্যাপী এ নির্যাতন শেষে শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম সৃষ্টি হলেও তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে ঘরে আটকে রাখে। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও লোকমান ফকির, কামাল ফকির, দেলোয়ার ফকিরের ভয়ে থানা কিংবা সংবাদকর্মীদের কাছে অভিযোগ দাখিল করতে পারেনি।
ঘটনার সাতদিন পর গত মঙ্গলবার সবার অগোচরে সুফিয়া বেগম কলাপাড়া প্রেসক্লাবে এসে তাদের উপর নির্যাতনের ঘটনা বর্ননা করেন। সাংবাদিকসহ উপস্থিত মানুষকে দেখান শরীরের ক্ষত। বিচার চান তাদের উপর বর্বর নির্যাতনের।

সুফিয়া বেগম বলেন, একই এলাকার লোকমান ফকির, কামাল ফকির, দেলোয়ার ফকিরসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা এমন নির্দয় নির্যাতন করেছে। এ চক্র তার মেয়ে ময়না বেগম ও নাতিকে বিভিন্ন ধরনের যৌন হয়রানি করে আসছে। নির্বিঘেœ বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না। তাদের কু-প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় মিথ্যা অজুহাত সৃষ্টি করে এমন লাঠিপেটা করা হয়েছে।
কলাপাড়া থানার ওসি মো.আজিজুর রহমান জানান, নির্যাতনের ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগপত্র পেয়েছেন। তদন্ত করে এ ব্যাপারে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রআইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এমকেআর/এসসি/সেপ্টেম্বর২৩,২০১৫)