জাতির জনক

বিশ্ব যাঁকে পরিয়ে দিলো
মুকুট মুক্তা হীরের
সবাই আমরা নাম জানি তো
বিজয়ী সেই বীরের ।

এ দেশবাসির জন্যে যে তাঁর
উঠতো হৃদয় কেঁদে
দস্যুরা তাঁর দুই পায়েতে
রাখতো শিকল বেঁধে ।

যাঁর হুকুমে যুদ্ধে গেছি
ভয় করিনি বোমার-
তাঁর স্বরণে শ্রদ্ধা রাখা
আজ প্রযোজন তোমার ।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা
যাঁর জীবনের দাম-
বঙ্গবন্ধু -জাতির জনক
শেখ মুজিবুর নাম ।

শেখ হাসিনা


আমরা তোমার ভাই ও বোন
সারা বাংলার লোক
যারা এখনও হৃদয়ে রেখেছি
পঁচাত্তরের শোক -

ভগ্নি তুমি নেত্রী তুমি
তুমি আলোর বাড়ি
তোমার পথে পা রেখেছি
আঁধার দিতে পাড়ি ।

মুজিবপ্রদীপ বুকের ভিতর
তোমার প্রভায় জ্বলে
একাত্তরের বাঙালি আজ
তোমার কথায় চলে।

দুঃখ শোকের লোকবাংলায়
সোনার সকাল আসবে
তোমার সাথে বাংলা গড়ে
বাঙালি ফের হাসবে ।


দাদাবাড়ি মামাবাড়ি

আমরা এলাম মামার বাড়ি
থাকি ঢাকার বাড্ডা,
সকালবেলা বিকেলবেলা
খুব জমে যায় আড্ডা।
বাড়ির সাথে মস্ত দীঘি
জলের গন্ধ হাওয়ায়,
আমরা বসে বারান্দাতে
হচ্ছে পিঠা তাওয়ায়।
পিঠার পরে আরো আছে
আম কাঁঠালের পালা,
মামী বলেন-চা হবে তো
চা এর চুলো জ্বালা ।
আম কাঁঠাল ও পিঠার পরে
হাতে হাতে চা,
দীঘির ঘাটে গল্পে মাঠে
তিন মামী আর মা।
রাত্রি নামে-উঠোনটাতে
আড্ডা-মাতামাতি,
মাঝখানেতে জ্বলতে থাকে
হারিকেনের বাতি ।

দাদাবাড়ি মামাবাড়ি
বেড়িয়ে ফিরি ঢাকা,
আবার শুরু গ্রীল ধরে
একলা একা থাকা ।

তারাগুলো


মধুমতি নদীর ধারে
মন হারিয়ে বারে বারে
লিপি ভাবে কী যে-
ভাবতে ভাবতে বৃষ্টি পড়ে
টাপুর টুপুর মিষ্টি করে,
যাচ্ছে লিপি ভিজে ।

ভিজতে ভিজতে রাত্রি নামে
দূরের ঘাটে যাত্রী নামে
ভাবনা তবু ফুরোয় না-
তারাগুলো ফুলের মতো
গাছের তলে কুলের মতো.
ওগুলো কেউ কুড়োয় না ?

(এনএম/বিএইচ২৪ সেপ্টেম্বর২০১৫)