পটিয়া(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি : বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন আগামী ৪ জুন অনুষ্ঠিত হবে। আসন্ন নির্বাচনে পটিয়া তিনটি প্যানেল ভুক্ত হয়ে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন।

দলীয় প্যানেলের পরজায় ঠেকাতে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন পটিয়ার মুক্তিযোদ্ধার। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনে কে হবেন কমান্ডার। আর কে হবেন ডেপুটি কমান্ডার। চট্টগ্রামের পটিয়ায় আগামী ৪ জুন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনটি প্যানেল জমজমাট প্রচারনা শুরু করছেন। পটিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মোট ভোটার ৩৫৬ জন সদস্য তাদের ভোটারাধিকার প্রয়োগ করবেন।

নির্বাচনের জন্য স্থান নির্ধারন করা হয়েছে পটিয়া আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়। প্রার্থীরা মুক্তিযোদ্ধা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ।

জানা যায়, তিন প্যানেলে বিভক্ত হয়ে নির্বাচনের প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধারা। তিনটি প্যানেলের মধ্যে কমান্ডার প্রার্থী তিন জন, ডেপুটি কমান্ডার প্রার্থী তিন জন, সহকারী কমান্ডার প্রার্থী ১৮ জন, সদস্য প্রার্থী ৭ জন, একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন।

এর মধ্যে হাতি প্রতীক নিয়ে লড়ছেন ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দীন- কামাল উদ্দীন চৌধুরী প্যানেল, ঘোড়া প্রতীক নিয়ে লড়ছেন নুর মোহাম্মদ ও আবদুল মান্নান প্যানেল, কলসী প্রতীক নিয়ে লড়ছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শক ফজল আহমদ ও মোস্তাফিজুর রহমান প্যানেল। মহিউদ্দীন-কামাল প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন সহকারী কমান্ডার শেখ বদিউল আলম, যুগল সরকার, রনজিত কুমার মিত্র, জামাল উদ্দীন খান, কাজী ফয়েজ, আলী আহমদ, ফজল করিম, কামাল আহমদ, সদস্য পদ প্রার্থী নুরুল আবছার চৌধুরী ও আবুল কাশেম চৌধুরী। নুর মোহাম্মদ- আবদুল মান্নান প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন সহকারী কমান্ডার পদপ্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহান, মোহাম্মদ ইসহাক মিয়া, আবুল কাশেম, দিল মোহাম্মদ, আহমদ নবী, মোহাম্মদ ইউসুফ, রুহুল আমিন, সদস্য পদ প্রার্থী আবদুল মন্নান, মোস্তাফিজুর রহমান। ফজল আহমদ- মোস্তাফিজুর রহমান প্যানেলে সহকারী কমান্ডার পদ প্রার্থীরা হলেন, আবু তাহের চৌধুরী, মৃদুল কান্তি বড়–য়া, মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ইদ্রিস, মৃণাল কান্তি বড়–য়া, সদস্য পদ প্রার্থী আবদুস ছালাম মাস্টার, মৃনাল কান্তি বড়–য়া। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন কমলা প্রতীক নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মুন্সি মিয়া। উপজেলা রির্টানিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাম্মৎ রোকেয়া পারভীন।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরির্দশক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার পদপ্রার্থী ফজল আহমদ বলেন, আমার প্যানেল বিজয় লাভ করলে মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বিক কল্যানে কাজ করব এছাড়া অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের দেখা শুনা করা, মুক্তিযোদ্ধাদের হাসপাতালসহ সরকারী বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিনা মূল্যে সেবা প্রদানের নিশ্চয়তার জন্য করব।

কমান্ডার পদপ্রার্থী চেয়ারম্যান মহিউদ্দীন বলেন, আমরা বিজয় হলে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের পরামর্শে সংসদ পরিচলান করব, সকলের মতামত নিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালতি হবে।

ডেপুটি কমান্ডার প্রার্থী আবদুল মান্নান বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা সৎ ও দক্ষ ব্যাক্তি হিসেবে আমাদের প্যানেলকে বিজয় করবে আমাদের কমান্ডার নুর মোহাম্মদ আগে কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় অনেক মুক্তিযোদ্ধাদের উপকার করেছে তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধদের কাছে সৎ ও র্নিলোভ ব্যাক্তি হিসেবে ইতিমধ্যে খ্যাতি লাভ করেছেন।

এ ব্যাপারে সাধারন ভোটার ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা তাজুর মুল্লক ও মুক্তিযোদ্ধা গোলাম কিবরিয়া বাবুল বলেন, ভোটাররা ইতিমধ্যে প্রার্থীদের অতীত ও ব্যাক্তিগত কর্মকান্ডের খোঁজ নিচ্ছেন, যাদের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের উপকার হবে তাদেরকে ভোট দেয়ার জন্য নিয়ত ঠিক করে রেখেছেন।

রির্টানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাম্মৎ রোকেয়া পারভীন জানান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি শেষ প্রান্তে। সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

(এনআই/জেএ/মে ২৫, ২০১৪)