ডেস্ক রিপোর্ট :  দাম্পত্য জীবনের শুরুর দিনগুলো অধিকাংশ দম্পতির সুখের কাটলেও কিছুদিন যেতে না যেতেই কোথায় যেন সেই সুখ হারিয়ে যায়। বিয়ের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকে সঙ্গীর প্রতি আকর্ষণ। বিয়ের পর অনেক দম্পতি সামাজিক কারণে একই ছাদের নিচে থাকলেও দিন দিন তাদের মধ্যে বাড়তে থাকে মানসিক দুরত্ব। মানসিক দুরত্ব বাড়তে বাড়তে একসময় বন্ধন ছিঁড়ে যায়। মানসিক টানাপোড়ন কমিয়ে সম্পর্ক ভালো রাখতে স্বামী-স্ত্রী দুজনকে সমান ভূমিকা রাখতে হয়। দাম্পত্য সম্পর্ক সুন্দর ও সুখকর করতে দুজনকে হতে হবে সৎ এবং নিষ্ঠাবান।

যোগাযোগ

অফিসের চাপ, সন্তানের দেখভাল কিংবা সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে হয়তো ব্যস্ত সময় পার করছেন। ব্যস্ততার মধ্যেও দুজন দুজনকে অনুভব করছেন ঠিকই কিন্তু প্রকাশ করছেন না। প্রকাশ না করার কারণে দুজনের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। দূরে থাকলেও ফোন, ফেসবুক কিংবা টুইটারে আপনার স্বামী কিংবা স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করুন। একসঙ্গে থাকলেও নিজেদের জন্য কমপক্ষে ১৫ মিনিট সময় বের করুন। তবে এই ১৫ ‍মিনিট সময়ে অফিসের কাজ কিংবা পরিবার নিয়ে আলোচনা করবেন না। এই সময়টুকু শুধু নিজেদের ভালোলাগা মন্দলাগা বিষয়গুলো শেয়ার করুন।

সম্মান

দাম্পত্য সম্পর্ক তখনই খুব মধুর হয় যখন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসার পাশাপাশি সম্মান ও শ্রদ্ধা বজায় থাকে। দাম্পত্য সম্পর্ক সুন্দরভাবে টিকিয়ে রাখতে একজন আরেক জনের পেশা, পরিবার, বন্ধ-বান্ধব ও পছন্দকে সম্মান করুন।

আপোস

দাম্পত্য সম্পর্ক অটুট রাখতে আপোসের কোনো বিকল্প নেই। কোনো কারণে নিজেদের মধ্যে মতের অমিল হতে পারে কিংবা দুজনের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হতে পারে। ভুলের জন্য যদি এক জন আরেক জনের কাছে ক্ষমা চান এবং সব বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন তাহলে সম্পর্ক আগের তুলনায় আরও মজবুত হবে।

আর্থিক বিষয়ে স্বচ্ছতা

দাম্পত্য সম্পর্ক সুন্দর রাখতে আর্থিক বিষয়ে স্বচ্ছতা থাকতে হবে। সংসার জীবনে দুজনেই অর্থ আয় করেন এবং দুজনেই ভবিষ্যতের জন্য আলাদা আলাদা ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমিয়ে রাখেন। কে, কত টাকা জমাচ্ছেন কিংবা কত টাকা খরচ করছেন সে বিষয়ে সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করুন।

উপহার

উপহার পেতে সবাই পছন্দ করে। বিবাহ বার্ষিকী, জন্মদিনে উপহার দিয়ে সঙ্গীকে চমকে দিন। উপহার হতে পারে লাভ কার্ড, চকলেট, ফুল, বই, টি শার্ট কিংবা সঙ্গীর পছন্দের কোনো পারফিউম।

সঙ্গীর জন্য সাজ

দাম্পত্য সম্পর্কের শুরুর দিন গুলোতে দুজন দুজনের জন্য যেভাবে সুন্দর পোশাক পড়ে পরিপাটি হয়ে থাকতেন। বিয়ের বয়স কয়েক বছর হয়ে গেলেও সঙ্গীর জন্য সেভাবে সেজেগুজে থাকার চেষ্টা করুন। সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন থাকার চেষ্টা করুন। দাম্পত্য সম্পর্ককে কখনো একঘেয়ে হতে দেবেন না।
রোমান্টিকতা

বিয়ের বয়স বেশ কয়েক বছর হয়েছে তাই বলে জীবন থেকে রোমান্টিকতাকে চলে যেতে দিবেন না। দাম্পত্য জীবনকে প্রতিদিনই নতুনভাবে উপভোগ করার চেষ্টা করুন। দুজন দুজনের ভালোবাসা ও আবেগকে প্রাধান্য দিন। শত ব্যস্ততার মধ্যেও নিজেদের জন্য সময় বের করুন। বিয়ের পর পর যেমন ঘুরতে বের হতেন এখনও মাঝে মাঝে ঘুরতে বের হন।সম্পর্কের উষ্ণতাকে কখনো হারাতে দেবেন না।

(ওএস/এইচআর/মে ২৫, ২০১৪)