পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি: পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও-আরএমওসহ ১২ জন ডাক্তার সোমবার অনুপস্থিত ছিলেন।

এখনো তাদের অনেকের ঈদের ছুটি কাটেনি।

সোমবার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কয়েকজন ডাক্তার চিকিৎসা দিতে হিমশিম খায়। চিকিৎসা নিতে আসা অনেক রোগী হই-হুল্লোড়, চিৎকার চেচামেচি করে চিকিৎসা না নিয়েই বাড়ি ফিরে গেছে।

সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা গেছে, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৪ জন ডাক্তারের মধ্যে ১ জন বদলী হয়েছেন ও ১ জন রংপুর মেডিকেলে সংযুক্ত আছেন। সোমবার তাদের মধ্যে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা (টিএইচও), আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সহ ১২ জন ডাক্তার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেননি।

এ ছাড়াও ২ জন ছুটিতে আছেন। ডাক্তার কম আসার কারণে রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে হই-হুল্লোড়, চিৎকার চেচামেচি শুরু করে চিকিৎসা না নিয়েই বাড়ি ফিরে যায়। সোমবার চিকিৎসা বঞ্চিত টুকুরিয়ার ছালেহা, মদনখালীর মোনছেফা খাতুন, মথুরাপুরের শেফালী বেওয়া, বড়আলমপুরের সোহেল মিয়া সহ বেশ কিছু রোগী জানায়- ৫০/৬০ ট্যাকা দিয়া ভ্যান ভাড়া করি হাসপাতালোত আসনো। আসি দ্যাখি ডাক্তার নাই। হামরা চিকিৎসা না পায়া বাড়িত যাওছি। সোমবার যারা আসেননি তারা হলেন- ডাক্তার হরিহর প্রসাদ (কার্ডিওলজি), এএম এনামুল হক বাশার (অর্থোঃ) শরিফুল ইসলাম মন্ডল (মেডিসিন), আরাফাত হোসেন, সামেয়া জান্নাত চেরী, এমএ আজিজ, নুরে নজর মোছাঃ মুনিরা বেগম, কামাল পারভেজ, মনিরুজ্জামান সরকার (সহকারী সার্জন) ও খাদিজা পারভীন (সহকারী সার্জন)।

এ ছাড়াও ডা. সুমন আল বিপ্লব ও শাহীনুল ইসলাম (সার্জারী) ছুটিতে আছেন। বদলী হয়েছেন ডা. শামিমা আক্তার শিমু এবং মোস্তফা কবির আহমেদ (চর্ম ও যৌন) রংপুর মেডিকেল কলেজে সংযুক্ত আছেন।

মোবাইলে কয়েকজন ডাক্তার নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন- আমরা ছুটিতে আছি। কালকেই যোগদান করবো। ঈদের পর টিএইচও-আরএমওসহ অনেকেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেননি। এ ব্যাপারে আরএমও ডা. জিয়াউর রহমান বলেন- আমি ২ দিনের ছুটি নিয়েছি। ছুটিতে থাকা টিএইচও ডা. আফরোজা বেগম বলেন- আমি ছাড়া আর কেউ ছুটি অনুমোদন করতে পারবে না। শুধু ২ জন ছুটিতে আছে। যারা আসেনি, তারা ছুটি নেয়নি। তাদের বিষয়ে জেলায় সিভিল সার্জনকে মোবাইলে জানানো হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত টিএইচও ডা. এমএ হাকিম বলেন- কয়েকজন ডাক্তার এসেছিল। শুনেছি, অনেক ডাক্তার ছুটিতে আছেন।

পাশাপাশি তিনি আরও বলেন- আমি টিএইচও’র দায়িত্ব পালন করছি। তারপরও বেলা আড়াইটার আগেই অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী বাড়ি চলে গেছে। এ ব্যাপারে আমি সিভিল সার্জনকে অবগত করেছি।

(জিকেবি/এলপিবি/সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৫)