মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গত কয়েক দিন যাবত বেশ সরগরম প্রয়াত সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীর নির্বাচনী এলাকা মৌলভীবাজার- রাজনগর-৩ শুণ্য আসন নিয়ে।

রাস্তার মোরে মোরে ডিজিটাল বিল বোর্ড স্থাপন কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের কল্যাণে নিজের প্রার্থীতা প্রকাশ করে জানান দিচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত প্রথম সারির বেশ কিছু নেতার পক্ষে নিজেদের অনুষারিরা।

এ নিয়ে গত কয়েকদিন যাবত আওয়মী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের তৃনমূল নেতা কর্মী থেকে শুরু করে সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ঘরোয়া আলোচনা, চায়ের আড্ডা কিংবা অন্যত্র বেশ জমজমাট হয়ে উঠছে। সবার দৃষ্টি কে হতে পরে মন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার পরবর্তী সাংসদ।

তবে দলের সমর্থন পাবার ব্যাপারে অনেকেই কেন্দ্রের সাথে জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে মন্ত্রীর সহধর্মীনি সৈয়দা সায়রা মহসিনের পক্ষে তার অনুষারিরা প্রার্থীতার ব্যাপারে ব্যাপক প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্নভাবে। সৈয়দা শায়রা মহসিন কে এম.পি হিসেবে দেখতে চাই শিরনামে একটি ফেইসবুক পেইজও খোলা হয়েছে ইতিমধ্যে।

এদিকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় যারা আছেন তারা হলেন বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক এআইজিপি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা পর্ষদ এর সদস্য সৈয়দ বজলুল করীম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নেছার আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি কামাল হোসেন ও সাবেক সংসদ সদস্য জেলা পরিষদ প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আজিজুর রহমান।

১৪ দলীয় জোটের মধ্যে সরকারের শরীক জাতীয় পার্টির পৌর সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান এ প্রতিবেদকের সাথে একান্ত আলাপ কালে জানান তিনি দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন চাইবেন।

দলের সমর্থন পাওয়ার ব্যাপারে তিনি জানান, যেহেতু এই নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট অংশগ্রহণ করবেনা তাই এই ভোট বেশির ভাগ তার পক্ষেই যাবে। তবে সার্বিকভাবে তৃনমুলের নেতা কর্মীসহ সবাই এখন কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়।

এদিকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর শুন্য আসনের নির্বাচন নিয়ে সাধারন মানুষের মধ্যে খুব একটা আগ্রহ নেই।

(এমএকে/এলপিবি/সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৫)