নিউজ ডেস্ক: সিলেটের শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হচ্ছে আজ।

খুঁটির সাথে বেধে পিটিয়ে নির্যাতন ও হত্যা এবং পরে ইন্টারনেটে তার ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় দায়ের করা এই মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।

তবে এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম সৌদি আরবে অবস্থান করায় তার অনুপস্থিতিতেই এই বিচারকাজ চলছে।

বিষয়টি নিয়ে নিহত শিশু রাজনের পরিবারের সদস্যদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে। তবে দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় তারা সন্তুষ্ট।

ঈদের দিন সন্তান হারানোর বেদনায় কান্নায় ভেঙে পড়েন শিশু রাজনের মা ।

এই মামলায় ৩০ জনের বেশি সাক্ষী রয়েছেন। যারা এই ঘটনা প্রত্যক্ষভাবে দেখেছেন বা পরোক্ষভাবে জেনেছেন।

তাদের সাক্ষ্য নেয়ার জন্য মোট পনেরো দিন ধার্য করা হয়েছে। খুব দ্রুতগতিতে এই বিচারকাজ শেষ করতে চাইছে কর্তৃপক্ষ।

রাজন হত্যা মামলায় মোট অভিযুক্ত ১৩ জন। গত ২২শে সেপ্টেম্বর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সিলেটের মহানগর দায়রা জজ আদালত।

তবে প্রধান অভিযুক্ত কামরুল সহ ৩ জন পলাতক আছেন। কারাগারে আটক আছেন ১০ জন।

এদিকে মামলায় অভিযুক্তরা ন্যায়বিচার পাওয়ার বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

কামরুল ইসলামের পরিবার মনে করে, অপরাধ করে থাকলে অবশ্যই শাস্তি পাওয়া উচিত।

হত্যাকান্ডের ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম এখনও সৌদি আরবে।

কিন্তু বিচার প্রক্রিয়া শুরুর আগেই তাদেরকে দোষীসাব্যস্ত করার একধরনের চেষ্টা দেখা যাচ্ছে। ফলে কতটা ন্যায়বিচার পাবেন সেটি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তারা।

এদিকে সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃপক্ষ এর আগে জানিয়েছিল, হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পর অভিযুক্ত কামরুল ইসলামকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।

(ওএস/এলপিবি/অক্টোবর ১, ২০১৫)