ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, নজরুল ছিলেন মানবতার কবি, অসাম্প্রদায়িক চেতনার কবি। সত্যিকারভাবে সমাজের, জাতি ও গোষ্ঠীর চারণ কবি। বিদ্রোহের মধ্যেই নজরুলের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয়। সেই সময় আমার বয়স ১২ কি ১৩ বছর। তখন তখন আমরা ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি।’

রোববার দুপুরে ত্রিশালে দরিরামপুর নজরুল একাডেমি মাঠের নজরুল মঞ্চে ৩ দিনব্যাপী জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৫তম জন্মজয়ন্তীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
পরে নজরুলকে নিয়ে তাঁর খোলামেলা অভিব্যক্তি, স্মৃতিচারণ ও গানসহ বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে কথা বলেন।
স্মৃতিচারণ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, সিলেটে ছাত্রদের সম্মেলনে নজরুল দু’বার গেছেন। সময়টা ১৯২৬ ও ১৯২৮। সেখানে তিনি মধুমাখা স্মৃতি রেখে গেছেন। তিনি সবাইকে বিদ্রোহী করতে ওস্তাদ ছিলেন। ওই সময়কার ছাত্রদের সম্মেলনের সেই অনুষ্ঠানের সারসংক্ষেপ তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, কবি নজরুল ওই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন। ওই সময় তিনি কিছুটা বক্তৃতা দিয়ে হারমোনিয়াম দিয়ে গান গাইতে শুরু করেন। তার উপস্থিতিতে তার গানে উদ্ধুদ্ধ হয়ে সিলেটে প্রথম দু’জন মুসলমান মহিলা পর্দার বাইরে এসে বসেন। সাধারণ মানুষকে উদ্ধুদ্ধ করার অদ্ভুত ক্ষমতা নজরুলের ছিলো।
তিনি আরো বলেন, ১৯৪২ সালে কবি নজরুল নির্বাক হয়ে যান। তিনি ৩৩ বছর এভাবেই অতিবাহিত করেন। নজরুলের সৃষ্টিশীল সময়টা অত্যন্ত কম। মাত্র ২৫ বছর ছিল তার এ সময়। এ অল্প সময়ের মধ্যেই ৪ হাজার গান, কবিতার ছড়াছড়ি ও অসংখ্য উপন্যাস রয়েছে তার। তিনি যে সাহিত্য ভান্ডার রেখে গেছেন তা গৌরবের বিষয়।’
সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি’র সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট রেজা আলী, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব রণজিৎ কুমার বিশ্বাস।
নজরুল স্মারক বক্তব্য রাখেন মুহম্মদ নুরুল হুদা। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী।
(এসইএস/এএস/মে ২৫, ২০১৪)