শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের বিভিন্ন স্থানে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা তোলার অভিযোগে সাবেক সেনা সদস্যসহ ৩ চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আটককৃতরা হলো-শহরের নবীনগর এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোস্তফা মাসুদ ময়না (৫২) এবং জামালপুর জেলার কালাপাড়া এলাকার জহিরুল ইসলাম (৩৪) ও নাজিমুল ইসলাম (২৮)। আটক ওই ৩ ব্যক্তিকে দ্রুত বিচার আইনে গ্রেফতার দেখিয়ে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ ২৫ মে রবিবার দুপুরে মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরেই শেরপুর জেলা শহরের নিউমার্কেট ও রঘুনাথ বাজার এলাকায় ফলমুল বিক্রেতা, ভাসমান কাচাঁমাল ব্যবসায়ী এবং রাস্তার পাশের হকারদের কাছ থেকে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোস্তফা মাসুদ ময়না (৫২) ও তার সহযোগীরা চাঁদা আদায় করে আসছিল। বিষয়টি স্থানীয় ব্যবসায়ীরা শেরপুরের পুলিশ সুপার মেহেদুল করীমকে জানালে তার নির্দেশে পুলিশ ২৫ মে রবিবার সকালে চাঁদা আদায়কালে মোস্তফা মাসুদ ময়নাকে হাতেনাতে আটক করে। সে শহরের রাজবলল্লভপুর এলাকার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে।
এদিকে, জামালপুর জেলার কালাপাড়া গ্রামের আইযুব আলীর ছেলে জহিরুল ইসলাম (৩৫) এবং একই গ্রামের নূরল ইসলামের ছেলে নাজির ইসলামসহ (২৮) বেশ কয়েকজন প্রতারক বেশ কিছুদিন যাবত জেলার শ্রীবরদী পৌর এলাকা, তিনআনী, শেরপুর সদরের বাজিতখিলাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে নানাভাবে প্রতারনা ও চাঁদাবাজি করে আসছিল। তারা নিজেদের কখনো ডিবি পুলিশ, আবার কখনো মানাবাধিকার নেতা পরিচয় দিয়ে নিরীহ লোকজনের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত ১১ টার দিকে অভিযান চালিয়ে সদর থানা পুলিশ বাজিতখিলা বাজার থেকে ওই দুই প্রতারককে চাঁদাবাজিকালে হাতেনাতে আটক করে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খাঁন বলেন,গ্রেফতার হওয়া ৩ চাঁদবাজের বিরুদ্ধে সদর থানায় দ্রুত বিচার আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
(এইচবি/এএস/মে ২৫, ২০১৪)