গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের একটি দরিদ্র অসহায় শিশুকে পিস্তলের গুলি ছুঁড়ে আহত করার ঘটনায় সুন্দরগঞ্জের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের সংসদ সদস্য পদ বাতিল, অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার এবং তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষুব্ধ ও প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেছে গাইবান্ধা জেলার সর্বস্তরের মানুষ।

মঙ্গলবার সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট গাইবান্ধা জেলা শাখার উদ্যোগে গাইবান্ধা শহীদ মিনারে মুখে কালো কাপড় বেঁধে অবস্থান ধর্মঘটের কর্মসূচি পালন করে সর্বস্তরের বিক্ষুব্ধ মানুষ।

এসময় বক্তব্য রাখেন মঞ্জুরুল আলম মিঠু, নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক রোকেয়া খাতুন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আফরোজা বেগম লিলি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী প্রমুখ।

এছাড়া শহরের আসাদুজ্জামান মার্কেট সংলগ্ন ডিবি রোডে একই দাবিতে একটি মানববন্ধনের কর্মসূচি পালিত হয়। মানবাধিকার সংরক্ষণ পরিষদ গাইবান্ধা জেলা শাখা, মানবাধিকার নাট্য পরিষদ, মানবাধিকার নারী সমাজ, মানবাধিকার আইনজীবি পরিষদ যৌথভাবে এই মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দেয়। এই কর্মসূচিতে সর্বস্তরের বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ গ্রহণ করে।

এসময় বক্তব্য রাখেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মারুফ মনা, জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল হক জনি, মানবাধিকার সংরক্ষণ পরিষদের কাজী মো. খালেক প্রমুখ।

বক্তারা সংসদ সদস্য বাতিলসহ এমপি লিটনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

তারা বলেন, মাদকে আসক্ত মাতাল কোন ব্যক্তির পক্ষে সংসদে বসে আইন প্রণেতার দায়িত্ব পালন করা কোন ক্রমেই সমীচিন নয়। তদুপরি তার মত মদ্যপ ও হটকারি ব্যক্তি আওয়ামী লীগের মত স্বাধীনতা স্বপক্ষের একটি বিশাল দলের সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করলে দলের ভাবমূর্তি বহুলাংশে ক্ষুন্ন হবে বলেও তারা আশংকা প্রকাশ করেন।

এদিকে বিতর্কিত এমপি লিটনের স্ত্রী সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতি এবং তার শ্বশুর, জেঠা শ্বশুর ও শ্যালকদের সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে জানা গেছে তারা জামায়াত এবং বিএনপির রাজনীতির সাথে এখনও সক্রিয়ভাবে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন।

তারা এমপি লিটনকে ঘিরে রেখে সুন্দরগঞ্জে আওয়ামী লীগকে কোনঠাসা করে প্রকৃত পক্ষে জামায়াত ও বিএনপির সকল অপতৎরতা সৃষ্টির পথকে সুগম করে তুলছেন এবং ওই দুটি দলকেই মূলতঃ রাজনীতিতে পুনঃ প্রতিষ্ঠা করছেন।

(আরআই/এলপিবি/অক্টোবর ৬, ২০১৫)