কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জ জেলায় এ বৎসর শারদীয় দুর্গোৎসব প্রস্তুতি চলছে সাড়ম্বরে। এবার কিশোরগঞ্জ জেলায় ৩৫৭টি শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায় এ বছর কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৫৪টি, করিমগঞ্জে ১০ টি, পাকুন্দিয়ায় ১৬ টি, হোসেনপুরে ১৪টি, কটিয়াদী ৪৩টি, বাজিতপুরে ৫৮টি, কুলিয়ারচরে ২৪টি, ভৈরবে ২০টি, ইটনায় ২৯টি, মিঠামইনে ১১টি, অষ্টগ্রামে ৪৮টি, নিকলীতে ১৫টি, তাড়াইলে ১৪টি পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এর মধ্যে ৩৪৩টি সার্বজনীন ও ১৪টি ব্যক্তি উদ্যোগে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর পূজা সামনে রেখে কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন নাটক ও

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতি বছরের মত যথারীতি হবে আরতি প্রতিযোগিতা। এরই মধ্য পূজার বাজারও অনেকটা জমে উঠেছে। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিজয় শংকর রায় ও সাধারণ সম্পাদক নারায়ন দত্ত প্রদীপ.জানান, পূজার
আয়োজন প্রায় শেষ পর্যায়ে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলেও পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দ জানান। এ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জ কালেক্টরেট সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক জি এস এম
জাফরউল্লাহর সভাপতিত্বে পূজা উপদযাপন প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিসুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ আবু সায়েম,জেলা পুজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি বিজয় শংকর রায়,
সাধারণ সম্পাদক নারায়ন দত্ত প্রদীপ,বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্ট্রান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ক্ষিতিশ দেব নাথ, সড়ক পরিবহন সমিতির আহবায়ক মানিক রঞ্জন দে,সদস্য সচিব লেলিন রায়হান শুভ্র শাহীন,সাবেক প্রধান শিক্ষিকা উষা রানী দেবী,কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল মালেক চৌধুরী,সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ
সম্পাদক মাখন দেব নাথ প্রমুখ। সভায় জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা,উপজেলা নির্বাহী অফিসারবৃন্দ,বিভিন্ন উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও রাজনৈতিক,সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

(পিএস/এসসি/অক্টোবর০৮,২০১৫)